
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ: হাফেজ ছাত্র হত্যার অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার ৩ শিক্ষক ও ৪ ছাত্রকে
গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ মাঝিপাড়া রওজাতুল উলম মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ১২ মার্চ (২০২১)নিহতের পিতা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করলে দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত ছাত্রের নাম ছাব্বির আহম্মেদ(১৪)। সে রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।গ্রেপ্তাররা হলেন- মাদ্রাসার শিক্ষক চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার মধুপুর এলাকার নূরুল ইসলাম মিয়াজির ছেলে শামীম, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান, ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার শাখারিনগর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু তালহা, মাদ্রাসার ছাত্র, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু বক্কর, ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার কাজা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শওকত হোসেন সুমন, একই জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমেদ ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ভাটিরগাঁও গ্রামের মৃত তমসির মিয়ার ছেলে আাব্দুল আজিজ।
মামলার বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানায়, সাব্বির ওই মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে থেকে হিফজ বিভাগে পড়তো। গত ১০ মার্চ সকালে শিক্ষক যুবায়ের জামাল হোসেন ফোন করে জানান, রডের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁছিয়ে সাব্বির আত্মহত্যা করেছে। এখবর পেয়ে নিহতের পিতা মাদ্রসায় গিয়ে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে লাশ বাড়ীতে নিয়া দাফনের প্রস্তুতি নেয়। লাশের গোসল করানোর সময় ঠোটে, কপালে ও মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্নসহ গালায় রশির দাগ দেখা যায়। তখন সন্দেহ করা হয় হত্যাকে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। ফলে বিষয়টি মাদ্রাসা কতর্পক্ষকে জানালে মাদ্রাসা থেকে অজ্ঞাতনামা হুজুর নিহতের পিতার মোবাইলে কল দিয়া ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে বুজ-পরামমর্শ দেয়। ভিকটিমের অভিভাবকরা নিশ্চত হয় এটা হত্যা। মাদ্রাসার শিক্ষক বা সহযোগীদের আঘাতে মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসাবে চালানোর জন্য লাশ গামছা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাধারন ছাত্রদের মধ্যে প্রচার করে মাদ্রাসা কতর্পক্ষ। পরে নিহতের পিতা জামাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনা জানালে রাতে পুলিশ ওই সাতজনকে আটক করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মশিউর রহমান বলেন ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সবাইকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।