সদ্য সংবাদ

 রাসিক কাউন্সিলর আরমানের বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ  বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড  অটো মালিক- শ্রমিক সমিতির চেক বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  উত্তরাঞ্চলের মাটিতে বাড়ছে অম্লত্ব, কমছে ফলন  চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নেসকো মিটার রিডারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি  রুয়েটে সিটিজেন চার্টার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদী রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ।  কচিকন্ঠের আসরের প্রতিনিধি সন্মেলন অনুষ্ঠিত।  গুজব মোকাবেলায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে রাজশাহীতে সিজিএস’র কর্মশালা  রাজশাহী সাংবাদিক সংস্থার যাত্রা শুরু  শামীম ওসমান ১০ বছরেও শোধ করেনি বন্ধুর ২৬ লাখ টাকা।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে,মেধা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান  রুয়েটে প্রথমবারের মতো ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট’ অনুষ্ঠিত  ফল মার্কেটের দাবি রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ীদের  নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন শামীম ওসমান  সংসদে কপিরাইট বিল পাস   কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি  ভিয়েতনামে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশে যা বললেন বাইডেন

পঞ্চগড়ে স্কেবিস রোগের প্রার্দুভাব বেশঅর ভাগ শিশু আক্রান্ত, প্রতিশোধক নেই

 Thu, May 25, 2017 10:04 AM
 পঞ্চগড়ে স্কেবিস রোগের প্রার্দুভাব বেশঅর ভাগ শিশু আক্রান্ত, প্রতিশোধক নেই

পঞ্চগড় প্রদিনিধি॥ : পঞ্চগড়ে হঠাৎ করেই স্কেবিস রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।বয়:বৃদ্ধরা বলছেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামগঞ্জে এক সময় এই রোগ দেখা দিয়েছিল।

 জানা যায়,কষ্টদায়ক ছোঁয়াছে এই রোগটি চুলকানি নামে পরিচিত। জেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দিন দিন রোগীদের ভিড় বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।  

সরবরাহ কম থাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না এ রোগের প্রতিষেধক। বয়োজ্যৈষ্ঠরা বলছেন, ১৯৭৯-৮০ সালের দিকে এই রোগটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল। 

 

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, সমগ্র জেলায় প্রতিমাসে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা  ১০০ জন করে বাড়ছে। তবে বাস্তবে এর চিত্র আরও ভয়ংকর। 

বোদা উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন নতুন স্কেবিস রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এসব ক্লিনিকে চিকিৎসা দানে নিয়োজিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা জানান, দ্রুত এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।  

জেলার ১০৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিকাংশেই এখন চুলকানি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভীড় করছেন। তবে ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিনা চিকিৎসাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে হতদরিদ্র রোগীদের। 

বোদা উপজেলার ভোলা বাসুনিয়া কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার শাহাজাহান আলী জানান, এই এলাকায় রোগটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। রোগীর তুলনায় ওষুধ কম। তাই এক বোতল ওষুধ ভাগ করে দিতে হয়েছে। বর্তমানে ক্লিনিকেও ওষুধ নেই। 

  

পরিবারের একজনের মধ্যে একবার দেখা দিলে অন্য সদস্যদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগটি। ফলে পরিবারের সকল সদস্যই এক সঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম থেকে গ্রামে।  

রোগটিতে আক্রান্ত হলে প্রথমে শরীরের একটি অংশে চুলকানো শুরু হয়। পরে ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা  সৃষ্টি হয়। জানা গেছে  দ্রুত না সারলে চুলকানি থেকে সৃষ্ট ক্ষতে ভয়ংকর রোগও সংক্রমিত হতে পারে। 

 

জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি ক্লিনিকে দুই থেকে তিন মাস পর পর স্কেবিস রোগের  প্রতিষেধক বেনজিন বেনজোয়েট ১২ বোতল সরবরাহ করা হয়। যা ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন আগত রোগীদের প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। ফলে প্রত্যেক রোগীর জন্য একটি করে বোতল বরাদ্দ থাকলেও এখন তা ভাগ করে দেয়া হচ্ছে অনেকজনকে। এতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ওষুধ নিতে এসে নতুন ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে অনেকে।  

দ্রুত কমিউনিটি হাসপাতালসহ জেলার সব সরকারি হাসপাতালে স্কেবিস রোগের প্রতিষেধক সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। 

 

বোদা উপজেলার মুসলীমপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম এ রোগে আক্রান্ত স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ নিতে এসেছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তার পরিবারের সকলেই এই রোগে আক্রান্ত। এক বছরের সন্তানের শরীর দেখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, কয়দিন থেকেই মুই এইঠে আসছু। এক দুই ফোঁটা করে ওষুধ নিয়া যাছু। হামরা গরিব। কেনালত বাড়ি করে আছু। চুলকানিতে মোর দুইডা ছুয়া রাইতত নিন্দাবা পারে না। ’

এদিকে, সিভিল সার্জন ডা. পিতাম্বর রায় জানান, স্কেবিস রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার তথ্য পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেড় হাজার বোতল বেনজিন বেনজোয়েট বরাদ্দের চিঠি এসেছে। ওষুধ এখনো আসেনি। এসে পৌঁছালেই দ্রুত তা কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। তবে তিনি বলেন, ওই ঔষুধ আসলে সমস্যা কেটে যাবে।


Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement

আরও দেখুন