ডেস্ক রিপোর্ট : : রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, খুলনা থেকে কলকাতায় সপ্তাহে একদিন ট্রেন চলবে।
প্রতি বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে বিকেলে ট্রেন কলকাতায় ছেড়ে যাবে। এতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লাগবে। ট্রেনটি সরাসরি খুলনা থেকে কলকাতায় ছেড়ে যাবে। এতে পথে পথে কোন স্টপেজ বা যাত্রী উঠানো স্টেশন থাকবে না। আপাতত খুলনা-কলকাতা ট্রেনের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সীমান্তে গিয়েই করতে হবে কিন্তু ভবিষ্যতে এটা স্টেশন থেকেই করা সম্ভব হবে।
অনেক পুরোনো ব্রিটিশ আমলে এই ট্রেন সার্ভিস ছিল। সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানকার মানুষের দাবি ছিল, এটাকে যাতে চালু করা হয়। যাতে সহজে খুলনা থেকে কলকাতায় যাওয়া সম্ভব হয়। সেই প্রেক্ষাপটে এই ট্রেন সার্ভিস সরাসরি চালু করা হল।
প্রশ্ন: ঢাকা থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য যে ট্রেন সার্ভিসটি রয়েছে। এটি যে সকল যাত্রীরা ব্যবহার করেছেন তাদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল যে এই পথে যাতায়াত করতে গিয়ে সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকের জন্য সময় নষ্ট হয় বা যে হয়রানির শিকার হন। সে কারণেই এটি তেমন জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু নতুন করে কলকাতা এবং খুলনার মধ্যে এই যে ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে এক্ষেত্রে এটা কেমন হবে এবং এখানে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেগুলো কোথায় সম্পন্ন হবে?
মোফাজ্জল হোসেন : খুলনার যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনেই হবে। অপরদিকে কলকাতাতে একটি টারমিনাল উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা কলকাতার মধ্যে যে ট্রেন সার্ভিস হবে সেটা কলকাতা টারমিনাল থেকেই ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করা হবে। আর এদিকে খুলনাতে স্টেশন তৈরির কাজ চলছে, জুন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। তখন আমরাও এখান থেকে ইমিগ্রেশনের কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।
প্রশ্ন: ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এই যে সরাসরি ট্রেইন সার্ভিস এটা একটি বড় ঘটনা। আপনি এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মোফাজ্জল হোসেন: অবশ্যই এটা একটা বড় ঘটনা। আমরাও উপলব্ধি করছি যে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এর জন্য এটা খুব কষ্টকর ছিল এখন থেকেই এই সমস্যা আর থাকবে না । সহজেই যাত্রীরা যেতে পারবে এবং সময়ও কম লাগবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী ও খুলনা-কলকাতার মধ্যে বন্ধন ট্রেন চালু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা