
পঞ্চগড় প্রতিনিধি॥ : পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্তনিরুত্তাপ ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও সব উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। কোনো কোনো কেন্দ্রে ১০ শতাংশও ভোট পড়েনি।
জেলা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, জেলা সদর, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ২৮৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার মোট ভোটার সাত লাখ ১৪ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে নারী তিন লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৮ ও পুরুষ তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৮ জন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ছিলেন ১৭ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন নির্বাচনে অংশ নেন। এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী উত্তাপ তেমন ছড়ায়নি। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই ব্যানার, পোস্টার ও প্রচারে সরব দেখা গেছে। নির্বাচন ভোটগ্রহণের সময় সেই চিত্রই দেখা গেছে। পাঁচ উপজেলার মধ্যে আটোয়ারীতে তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেশি ছিল। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলার একাধিক কেন্দ্র ঘুরে ভোটারহীন ভোট লক্ষ করা যায়। কোথাও ভোটারদের কোনো লাইন ছিল না। কোথাও কোথাও প্রার্থীরা ভোটারদের ডেকে ডেকে কেন্দ্রে এনেছেন। জনপ্রিয় প্রার্থীদের কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক বেশি ভোট পড়েছে।
ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভোটার শাহিদা আক্তার বলেন, মানুষের মনে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই তারা ভোট দিতে আসেনি। অনেক প্রার্থী অনুরোধ জানালেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ভোটাররা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। কোনো অনিয়মের সঙ্গে আমরা আপস করিনি। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছে বলে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট শেষ হয়েছে।’
রেলমন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন তাঁর নিজ এলাকা ময়দানদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। আমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দেওয়ার জন্য আমি ছুটে এসেছি।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় গড় ভোট পড়েছে ২০দশমিক ৬৩ শতাংশ বলে জানা গেছে।