
লাভলী :: সন্ত্রাসী হামলার আজ পর্যন্ত যতগুলি ঘটনা ঘটেছে, এই সুন্দর পৃথিবীতে অশ্রু ঝরিয়েছে করেছে রাজপথ,
মসজিদ মন্দির রক্তে লাল সব গুলি ঘটনাকে জানা ধিক্কার।
কিভাবে একজন মানুষ একজন মানুষ কে হাসতে হাসতে গুলি করতে পারে। এরা কি আসলে সুস্থ? এদেরকে মানুষ রুপি ভাবতে ও বিশ্বাস হয়না। একজন আমাকে একটি গল্প বলেছিল - যা শুনে মনে হচ্ছিলো আমরা মানুষরা কত নিষ্ঠুর। আর এই নিউজিল্যান্ড এর মসজিদের হামলার ব্যাপারে মুখে বা কিছু লিখে অভিব্যক্তি প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই।
গল্পটা এরকম - " একটা ডোবায় খুব অল্প পানি। সেখানে ব্যাঙ দের বসবাস।একদিন একদল গ্রামের দুষ্ট ছেলে ব্যাঙ দের দেখতে পায়।তখন তারা অনেক গুলি পাথর জোগাড় করে। সেই পাথর ছুড়ে ব্যাঙদের আঘাত করে। আঘাত থেকে বাচার জন্য ব্যাঙ গুলি লাফিয়ে এদিক সেদিক গিয়ে লাফাতে থাকে। আর এসব দেখে ছেলে গুলির খুবই আনন্দ হয় & তারা মজা পেয়ে হাসতে থাকে। তখন বয়োজ্যেষ্ঠ একটা ব্যাঙ মৃত্যর হাত থেকে বাচাতে সাহস করে মাথা তুলে বলে। যে খেলা তোমাদের আনন্দ ও হাসির কারন সেটা হচ্ছে আমাদের কষ্ট ও মৃত্যর কারন। আমাদের দয়া করো।
সেরকম যে খেলায় আনন্দ পাচ্ছো সেটা হয়তো আরেক জনের জীবন থেকে সুখ,হাসি, আনন্দ হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারন। এই দুষ্ট ছেলেদের যেমন কোনো রাইট নাই ব্যাঙ গুলিকে আঘাত দিয়ে মেরে ফেলার। তেমনি অন্যকে কষ্ট দেবার রাইট কি কেউওরো আছে - - - -?
যে ছেলেটি হাসতে হাসতে মানুষের উপরে গুল চালিয়েছে সেকি আসলেই মানুষ? নাকি মানুষ রুপি পশু।নিউজ বলছে এটা শেতাজ্ঞ উগ্রপন্থী দের কাজ। কিন্তু এরা কি আসলে কালো সাদা,হিন্দু মুসলিম বা খ্রিষ্টান বা অন্য কোনো ধর্মের হতে পারেনা। এদের ধর্ম একটাই তা হচ্ছে পুশুত্বের।
আলহামদুলিল্লাহ্ মনটা - ক্ষিপ্র, বিধ্বস্ত, তিক্ত,বিরোক্ত, ধ্বংসাত্মক অবস্থায় ধুয়া বের হচ্ছে। আল্লাহ্ বলেছেন সর্ব অবস্থায় খুশি থাকো। তাই খুশি ও শুকরিয়া জানাই। যারা বেচে ফিরেছেন এই হামলা থেকে। শুকরিয়া জানাই আমাদের ক্রিকেট টিমের সহিসালামত এ ফিরে আসার জন্য। আমি অবাক, হতবাক,বিহ্বল। কি করে এই ছেলে হাসতে হাসতে আদালতে এসেছে। এতো পাগল। এদের মতো পাগলদের হাতে প্রতি নিয়ত কত কোটি প্রান বলি হচ্ছে।
আসলেই কি পাগল? তাহলে এই পাগলদের সন্ত্রাসী হামলার পেছনে মদদ দিচ্ছে কারা। কারা অস্ত্র এর জোগান দিচ্ছে? তারাই আসল নর পিশাচ। এদের পাগল বললে ভুল হবে। এই নর পিশাচ দের বলছি - কেনো তোমরা পশুর মতো করে মানুষ মারছো? আরে এখন তো পশু না মারার জন্য প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য আইন পাশ হয়েছে এরা তো মানুষ মারছে।
কেনো এই শান্তির পৃথিবীতে রক্ত পাত ঘটাচ্ছো তোমরা। কেনো মানুষকে মানুষের মত বাঁচতে দিচ্ছো না।
চলুন এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে আর একটি ও রক্তপাত না ঘটাই। চলুন এই পৃথিবীর সবাই একসাথে বলি " আর একটি প্রান ও আমরা এই নরপিশাচদের হাতে মরতে দিবো না।