নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:: বিতর্কিত এসপি হারুন ছাড়া যেন নারায়ণগঞ্জ অচল।
তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় যখন ছিলেন না তখন মনে হচ্ছে অচল ছিল নারায়ণগঞ্জ। গাজীপুর থেকে এসপি হারুন চলে আসার পর যেন এখন আর গাজীপুর বাংলদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে এসপি হারুনের দোসরদের আর্তচিৎকার দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে । মনে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে। সুবিধাভোগিরা এখনও বলছেন, ফিরে আসছে হারুন। দিবাস্বপ্নে তাদের রাত কাটছে চেয়ে চেয়ে। ভালবাসায় গদ গদ হয়ে রাত জেগে জেগে চোখের নীচে কালি জমতে শুরু করেছে সুবিধাভোগিদের। অপরদিকে হারুনের রোষানলে পড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, নয় মন ঘিও পুড়বে না, রাধাও আর নাচবে না।
নারায়ণগঞ্জের একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রথম দিকে জেলায় এসে তিনি যেভাবে শুরু করেছিলেন তা জনগনের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু মাত্র ২/৩ মাসের মধ্যেই তিনি পুরো নারয়ণগঞ্জকে গিলে খেতে শুরু করেন। রয়ে শয়ে খেতে পারতেন। আমরা জানি নারায়ণগঞ্জে আপনারা আসেন খাওয়ার জন্য। তবে সে খাওয়াটাতো হতে হবে জনবান্ধব। রাজনৈতিক নেতাদের মত নানা মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে প্রকাশ্যে করেছেন ষ্ট্যান্ডবাজি। অন্তরালে তিনি শুরু করেন অপকর্ম। মিডিয়াও তাকে প্রথম দিকে সমর্থন দিয়েছে। এই সমর্থনের সুযোগে একজন পুলিশ অফিসারকে ব্যবহার করে এসপি হারুন মিডিয়ার একটি অংশকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তার দালালে পরিনত করেছেন। মোটামুটি এসপি হারুনের ১১ মাসে তার দেয়া টাকায় চলেছে অনেকের সংসার। ফলে এসপি হারুনকে প্রত্যাহারের পর তারা পড়ে গেছেন অর্থ সংকটে। অর্থ সংকটে পড়ে এখন তারা অনেকটাই দিশেহারা। ফলে বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশে থাকা এসপি হারুনের প্রেতাত্মাদের দিয়ে চলছে জেলাকে অস্থিতিশীল করার যড়যন্ত্র। পেছনে রয়েছে সুবিধাভোগি মিডিয়ার সেই অংশটি। তারা মনে প্রানে ও স্বপ্নে ফিরিয়ে আনতে কায়োমনো বাক্যে প্রার্থণা করে যাচ্ছেন হারুনের জন্য।