এশিয়া খবর ডেস্ক:: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,
সিটি নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগকে জেতাতে ততটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। বরাবর নির্বাচনের পূর্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া হয়। এবারে ঢাকা সিটি নির্বাচনে সেই উদ্যোগও নেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্বরূপ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে যে অবস্থা বিরাজমান ছিল আবার তা শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করছে।
তিনি বলেন, গত পরশু দিন (রোববার) গোপীবাগে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের করার পর এ পর্যন্ত ১০-১২ জনকে গ্রেফতার করে এখন রিমান্ডের নামে চলছে অকথ্য নির্যাতন। ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামিসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই অজ্ঞাতনামা আসামি করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গণগ্রেফতার চালিয়ে এলাকাকে বিএনপি নেতাকর্মী ও ভোটারশূন্য করা।
রিজভী বলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিনের ক্যাম্প থেকে হামলা করা হয়। দোতলা থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ১২ জনের মতো বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন সাংবাদিকও রয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান। উল্টো ওয়ারী থানার ওসি নিজে বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তিনি যেন ওই থানায় যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে যে সব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বা অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে কমিশনে কোনো প্রকার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সিইসির নেতৃত্বে কয়েকজন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। আর সে জন্যই সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা কমিশন সভায় স্থান পায় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক প্রমুখ।