পঞ্চগড় থেকে মোঃ কামরুল ইসলাম কামু: ‘মুজিব বর্ষের প্রত্যয়, নারী ও শিশু নির্যাতন আর নয়’ -এ শ্লোগান নিয়ে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন '১০৯' এর কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতাধীন জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেলের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সচতেনতামূলক এক সেমিনার সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং টোল ফ্রি হেল্পলাইন উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ইন সার্ক মেম্বার স্টেটস (বাংলাদেশ) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুখশানা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আহসান হাবীব, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার নজরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন- জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. নাঈমুল হক, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা, দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আকতার, জেলা মহিলা সংস্থা’র চেয়ারম্যান মনিরা পারভীন, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন প্রধান, পঞ্চগড় প্রেসকাবের সভাপতি সফিকুল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারী নেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকী। সেমিনারের সমন্বয়কারী ছিলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার উত্তম কুমার মন্ডল। সেমিনারে ‘১০৯’ এবং নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর তাতক্ষণিক সহায়তায় ‘জয়’ মোবাইল অ্যাপস বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়। এ নম্বর ও অ্যপস-এ বিনা পয়সায় কল করে সেবা নেয়া যাবে, পরিচয় গোপন রাখা যাবে। ইতোমধ্যে অনেকেই এ সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এ সেবা নিশ্চিত করা গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং বাল্য বিবাহ বন্ধ হবে বলে অভিমত দেন অনেকেই। দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, নারী জনপ্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।