
এশিয়া খবর ডেস্ক:: অর্থ পাচারের চার মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা,
আলোচিত দুই ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে সিআইডি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় বুধবার এ চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার আদালত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও সূত্রাপার থানার মানি লন্ডারিং আইনের চার মামলায় তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। চারটি মামলায় বেশিরভাগই একই আসামি। চার মামলায় ৫১ আসামি হলেও তারা ১৮ জন। গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দুটি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী রোববার অভিযোগপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে অপরাধীরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে নিজেদের কাছে রেখেছিল। আসামিরা এই অর্থ উপার্জনের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তদন্তে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও সাধারণ সম্পাদক রুপন ছাড়াও ওয়ান্ডার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি। তবে ক্লাবের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছারের কোনো সংশ্লিষ্টতা মেলেনি বলে দাবি করেছে সিআইডি।
জানা গেছে, এনু-রুপনের নামে ব্যাংকে ১৯ কোটি টাকা এবং পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১২৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এ দুই ভাই।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এনু ও রুপনের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে কয়েকটি সিন্দুক ভর্তি পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা করা হয়।
পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু-রুপনের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬শ’ টাকা জব্দ করা হয়। আর পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজ এবং এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা হয়।
অন্যদিকে, দুদক এনু-রুপনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। তাদের আয়ের বড় উৎস ছিল মতিঝিলের ওয়ান্ডার্স ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়