
পঞ্চগড় প্রতিনিধি॥: পঞ্চগড়ে সীমান্তে স্বামী-স্ত্রী ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয়দের তাড়া
খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। এতে নিখোঁজ রয়েছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড় সীমান্তে । এরা হলেন; লতিফুল ইসলাম (৪২) ও সাহেদা বেগম (৩৮) নামের এক দম্পতি করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। সাহেদাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে পারলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে লতিফুল। নিখোঁজ লতিফুলের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পশ্চিম মীরগড় এলাকায়। সে ওই এলাকার মৃত তজমদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে মীরগড় সীমান্ত সংলগ্ন করতোয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছালেও নদীর ওই অংশটুকু ভারতের অভ্যন্তরে পড়ায় উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহের আলী উদ্ধার হওয়া সাহেদার বরাত দিয়ে জানান, বিকেলে স্বামী-স্ত্রী দুজনে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতীয় চা বাগানের ভারতীয় নাগরিকরা তাদের হঠাৎ গুলতি ও দা নিয়ে তাড়া করে। এ সময় তারা প্রাণভয়ে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয়। নদীতে পানি ও স্রোত বেশি থাকায় তলিয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর সাহেদাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। তবে তার স্বামী লতিফুল এখনো নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা নদীতে নেমে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পায় নি। খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নিরঞ্জন সরকার করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করতোয়া নদীর ওই অংশটি ভারতীয় এলাকা হওয়ায় আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে পারিনি।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন রকম তথ্য পাচ্ছি। কেউ বলছেন তারা গোসল করতে গিয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছে আবার কেউ বলছেন ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয়দের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। তবে সেখানে কি ঘটেছিল আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আমাদের সদস্যরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। শিগগিরই আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবো বলে মনে করছি’।