
এশিয়া খবর ডেস্ক:: মসজিদের পেছনে অল্প জায়গা। সেখানেই নাচের আসর জমেছে।
নাচছেন চিত্রনায়িকা মুনমুন, আর তাকে ঘিরে অনেকেই ভিডিও করছেন। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপরই ক্ষ’মা চেয়েছেন অনুষ্ঠানটির আয়োজকেরা।
সোমবার নৌকা ভ্রমণ কমিটির আয়োজকরা ভু’ল স্বীকার করে ম’সজিদটি সংস্কারে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। এর আগে শনিবার বিকেলে মাইক্রোবাস মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে গঠিত আল মদিনা সমবায় সমিতির নেতৃত্বে নৌকা ভ্রমণ শেষে উপজে’লার কাকড়াজান ইউনিয়নের পলাশতলী বাজার ম’সজিদের সামনে নায়িকা মুনমুনের নাচের এই আসর বসানো হয়।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সখীপুরে নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশে চলচিত্র নায়িকা মুনমুনকে সখীপুরে আনেন আয়োজকরা। শনিবার সখীপুর ও কালিহাতী উপজে’লার সীমান্তবর্তী পলাশতলী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাইলসিন্দুর নদীতে নৌকা ভ্রমণ শেষে দুপুরে পলাশতলী বাজারে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে।
এরপর সাউন্ড সিস্টেমে বাজনা বাজিয়ে ম’সজিদের সামনে আসর বাসিয়ে নায়িকা মুনমুনের গান ও নাচে মেতে উঠেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেসবুকে ভাইরাল হতে থাকে এই নৃত্যানুষ্ঠানের ছবি। শুরু হয় প্রতিবাদ ও সমালোচনা।
নৌকা ভ্রমণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন উপজে’লা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ই’সলাম কাজি বাদল। তিনি বলেন, আমি আয়োজকদের আমন্ত্রণে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। নাচের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, পরে শুনেছি।
মুনমুন বলেন, আমি কি অন্য ধ’র্মের লোক যে মস’জিদের সামনে নাচবো? আমি কখনই কারো ধ’র্মীয় অনুভূতিতে সজ্ঞানে আঘাত হবে- এমন কাজ করবো না। আমি যদি জানতাম ওখানে ম’সজিদ রয়েছে তাহলে নাচতাম না কখনই। তারপরেও যদি আমার এই ঘ’টনায় কেউ আ’ঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে সকলের কাছে আমি ক্ষ’মা চাইছি।
সেখানে ম’সজিদ রয়েছে আমি জানতাম না স’ত্যি। তিনি বলেন, আমি ওই অনুষ্ঠান শে’ষ করে ঢাকায় বাড়ি ফিরেছি। এরপরে আমার কাছে সখীপুর থেকে ফোন আসে। তারাই আমাকে জানায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু স’ত্য কথা হলো ওখানে কোনো ম’সজিদ ছিল না।
মসজিদের যে সাইনবোর্ড টানানো ছিল, সেটা আসলে একটা মসজিদ নদী ভা’ঙনে বিলীণ হয়ে যায়। সেই ম’সজিদের সাইনবোর্ড এনে রাখা হয়েছে। দেখবেন সাইনবোর্ডটা একেবারে নতুন। আর ম’সজিদের কা’র্যক্রম ছিল না। স্থানীয়রাই এসব বলেছে। আর আমি এসব কথা জেনেছি, ঘ’টনার ভিডিও ভাইরাল হবার পর।