সদ্য সংবাদ

 অটো মালিক- শ্রমিক সমিতির চেক বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  উত্তরাঞ্চলের মাটিতে বাড়ছে অম্লত্ব, কমছে ফলন  চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নেসকো মিটার রিডারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি  রুয়েটে সিটিজেন চার্টার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদী রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ।  কচিকন্ঠের আসরের প্রতিনিধি সন্মেলন অনুষ্ঠিত।  গুজব মোকাবেলায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে রাজশাহীতে সিজিএস’র কর্মশালা  রাজশাহী সাংবাদিক সংস্থার যাত্রা শুরু  শামীম ওসমান ১০ বছরেও শোধ করেনি বন্ধুর ২৬ লাখ টাকা।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে,মেধা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান  রুয়েটে প্রথমবারের মতো ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট’ অনুষ্ঠিত  ফল মার্কেটের দাবি রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ীদের  নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন শামীম ওসমান  সংসদে কপিরাইট বিল পাস   কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি  ভিয়েতনামে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশে যা বললেন বাইডেন  নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ইয়াবসহ যুবক আটক   সাঘাটায় কাঠ পুড়িয়ে চলছে কয়লা তৈরি

পঞ্চগড়ে নিউরো রোগির সংখ্যা বাড়ছে

 Sun, Oct 11, 2020 10:03 PM
    পঞ্চগড়ে নিউরো রোগির সংখ্যা বাড়ছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি॥: পঞ্চগড়ে নিউরো রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাত, ব্যথা,

পক্ষাঘাত গ্র¯’ পুন:বাসনসহ  পেইন মেনেজমেন্ট সংক্রান্ত নিউরো জটিলতা রোগের কমপক্ষে ২০ হাজার রোগী রয়েছে এ জেলায়। এ সকল রোগীর অধিকাংশরই প্রয়োজন ফিজিওথেরাপি। সরকার  রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ পাস করলেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের মাত্রা অত্যন্ত ধীর। স্বে”ছাসেবী সংগঠন দারিদ্র কল্যাণ সং¯’া প্রতিবন্ধী ফিজিওথেরাপি সেবা দি”েছন এছাড়াও জেলায় সরকারি দুটি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র রয়েছে। সেইগুলোতেও জনবল সংকট  ও যন্ত্রপাতির অধিকাংশ সময় বিকল থাকায় সাধারণ মানুষ প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হ”েছ।  জেলায় কোন আবাসিক ফিজিও থেরাপি হাসপাতাল সরকারি বা বে-সরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা হয়নি। কারও কারও সামর্থ থাকলেও উপজেলা শহর বা গ্রামে ফিজিও টেকনিশিয়ান না থাকায় সাধারণ মানুষ এ সেবাটি নিতে পারছে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিজিও থেরাপি টেকনিশিয়ান ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবী। যাদের টাকা রয়েছে তারও সেবা নিতে পারছেন না। যাদের নেই তারাও প্রাপ্ত সেবা নিতে পারছেন না। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই ৫/৭ জন প্যারালাইসসি রোগীর সন্ধ্যান মিলছে। এর  সাথে অন্যান্য ফিজিও সম্পৃক্ততা রোগীর সংখ্যাও কম নয়।  জরুরীভাবে বিষয়টি সরকারের ভাবা উচিৎ। অন্যথায় সচল একটি বিরাট অংশ চিকিৎসা সেবার অভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে যা”েছ।বুলবুলি(৭৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার  ৩নং ইউনিয়নের মোলানীপাড়া গ্রামে বাসন্দিা। যৌবনে স্বামী সন্তান পরিবার পরিজনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। পরিবারের কাজ করতে গিয়ে পাননি কোন মজুরী বা অভারটাইম। খেতে খামারেও কাজ করেছেন। তার প্রতিটি কাজই একজন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যেই পড়েছে। প্রতিদিন বাড়ী বাড়ী ঘুরে অসংখ্য নারীকে আল-কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। এ কাজটি করেছেন তিনি কয়েক যুগ ধরে। পারিশ্রমিকের বিষয়ে কোন আবেদন, নিবেদন তাঁর ছিল না কখনই। দরিদ্র পরিবারের সদস্য বুলবুলি স্বামী কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। ছেলেও হয়েছেন কাঠমিস্ত্রি। পরিবারে আয়-রোজগার খুব একটা নেই। গত কয়েক বছর আগে বুলবুলি ব্রেইনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এক হাত, এক পা অবস্ হয়ে যায় বাঁক শক্তিও বন্ধ হয়ে যায়। বিছানায় প্রয়োজনীয় সকল কাজ তাকে করতে হয়। এজন্য তার পেছনে প্রয়োজন সবসময় পরিচর্যাকারী, অর্থেরও প্রয়োজন। ছেলে রেজাউল মা’কে সু¯’্য করবার জন্য ঘুরেছেন বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে।বুলবুলি বয়সের ভারে নজু, রোগে শোকে ক্লান্ত। যে রাষ্ট্রকে জীবনের মূল্যবান সময়টুকু দিলেন, পরিবারকে দিলেন  সেই রাষ্ট্র বা পরিবারের কাছে কতটুকুই বা পেলেন। প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর জন্য ক্ষণ গণনা করছেন। এই নিদারুন কষ্টের চেয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়াই উত্তম। এমনটিই তাঁর ইশারা ইঙ্গিতের ভাষায় বোঝা যায়।
বোদা উপজেলার বেংহাড়ী ইউনিয়নের ঝেরঝেরিয়াপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের যগেন্দ্রনাথ(৭০) তিনিও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে কঠিন সময় পার করছেন। বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না, বাক-শক্তিও হারিয়েছেন। একমাত্র সংসারে একমাত্র আয়ের ব্যক্তিটি তার ছেলে। সেও অসু¯’্য। এর পরেও  পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ওঝা  কবিরাজের কাছে নিয়ে গেছেন। এই গ্রামে আরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের রজলী খালপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী (৬৫) তিনিও একইভাবে আক্রান্ত হয়ে দিন যাপন করছেন। একমাত্র ছেলে আয়-রোজগারের জন্য ঢাকায় গার্মেন্টস্ কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। স্ত্রী বহু আগেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। কলেজ পড়–য়া ছোট্ট মেয়েটির ঘারে পড়েছে সংসারের দায়-দায়িত্ব। কোনমতে সংসার চালা”েছন আর বাবার সেবা করছেন। বিছানায় প্রয়োজনীয় কাজ সারেন আব্বাস আলী। ছোট্ট মেয়েটির চোখে ও মুখে যেমন অন্ধকারের ছাপ তেমনি পিতার চোখে মুখে বেঁচে না থাকার আকুল আবেদন।দেশ স্বাধীনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের পারিপার্শ্বিক অব¯’ায় নন -কমিউনিক্যাবল রোগের চিকিৎসা ও পুন:বাসনসহ ব্যথা নিরাময় ও প্রতিরোধে ফিজিও থেরাপি এবং রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বাথ, ব্যাথা নিরাময় ও পক্ষাঘাত গ্র¯’দের পুন:বাসনসহ  পেইন মেনেজমেন্ট রোগীদের চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫’র পর  বঙ্গবন্ধুর  সে উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর পিতার উদ্যোগকে সফল করবার জন্য আবারও কাজ শুরু করেন। ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসা সেবা সহজলোভ্য করেন। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিশ্ব দরবারে সুনাম অর্জন করেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জাতিসংঘের অটিজম বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৮ সালে সরকার রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন পাশ করেন এবং সে মতেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠন করেন। সচেতন মহল মনে করেন ফিজিও থেরাপি চিকিৎসা সেবা কিভাবে সাধারণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়া যায় সে ব্যাপারে  সরকারকে  এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। দেশে একজন ফিজিওথেরাস্টি এর কাধে দশ হাজারে অধিক মানুষের দায়িত্ব পড়েছে, ফলে  সরকারি বে-সরকারি রিহ্যাবিলিটেশন ইন্সটিটিউট দ্রুত প্রতিষ্ঠা জরুরী হয়ে পড়েছে। সিভিল র্সাজন ডা. মোঃ  ফজলুর রহমানের মনে করেন এসকল রুগীর জন্য বিষেশায়িত ইউনিট ও জনবল প্রয়োজন। তিনি আশাবাদী সরকার নিশ্চই সরকার ব্যব¯’া নিবেন




Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement

আরও দেখুন