
এশিয়া খবর ডেস্ক:: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার বাংলাদেশ
বিমানের একটি উড়োজাহাজের শৌচাগারের ভেতর থেকে প্রায় সাড়ে ৮ কেজি ওজনের ৬৮টি স্বর্ণবার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তবে মিলছে না ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোন চক্র।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আগত বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২৪৮ নম্বর ফ্লাইটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় প্রায় ৫ ঘণ্টা অভিযান শেষে ফ্লাইটের শৌচাগারে ভেতর ময়লা রাখার চেম্বারের নিচে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা কালো টেপ মোড়ানো ৪টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। পরে এসব প্যাকেট খুলে তা থেকে ৬৮ পিস স্বর্ণবার জব্দ করা হয়।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এর কয়েকদিন আগেই বিমানবন্দরে আবুধাবি থেকে আগত বাংলাদেশ বিমানের অপর একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করে যাত্রী আসনের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা প্রায় সাড়ে ৮ কেজি ওজনের ওই সমপরিমান (৬৮ পিস) স্বর্ণবার জব্দ করা হয়। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর সমকালকে বলেন, শুক্রবার বিমানের শৌচাগার থেকে জব্দ করা স্বর্ণবারের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এই স্বর্ণবার পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিমানের অসাধু এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় স্বর্ণপাচার চক্রকে শনাক্ত করতে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দার এ মহাপরিচালক আরও জানান, সম্প্রতি এর আগে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের যাত্রী আসনের নিচ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় সমপরিমান (৬৮ পিস) স্বর্ণবার জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ইফতেখার আলম ভুঁইয়া সমকালকে বলেন, মহামারি করোনার মধ্যে সক্রিয় স্বর্ণপাচার চক্র। তবে বিমানবন্দরে কর্মরত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তৎপরতায় জব্দ করা হয় পাচার চক্রের বহনকৃত কোটি কোটি টাকার স্বর্ণবার। এ চক্রটির সঙ্গে খোদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিমান বন্দরের অসাধু এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িত বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে চক্রটির বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত অব্যাহত আছে।