
এশিয়া খবর ডেস্ক:: রাজধানীর শ্যামলীতে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামে
একটি ল্যাবে ও মোহাম্মদপুরে সন্ধী ডায়গনস্টিক সেন্টার নামে দুটি পরীক্ষাগারে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করাসহ ৪ জনকে জরিমাণা করা হয়। শনিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর শ্যামলীর ১ নম্বর রোডের ২/১ অনিক ভিলার তিন তলার হাইপোথাইরয়েড সেন্টারটিতে মৃত চিকিৎসক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান নামে সই দিয়ে মাসের পর মাস রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হচ্ছিল। ১০ বছর ধরে থাইরয়েড, হেপাটাইটিসের মতো পরীক্ষার ল্যাব পরিচালনা করলেও ছিল না কোনো সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি। এসময় নানা অনিয়মের অভিযোগে সোহেল রানা ও মো. রাসেল নামে প্রতিষ্ঠানটির দুজন কর্মীকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছে র্যাব।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, হাইপোথাইরয়েড সম্পর্কিত হরমনাল টেস্টের জালিয়াতির দায়ে হাইপো থাইরয়েড সেন্টারের দুই কর্মচারীকে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাইপোথাইরয়েড সেন্টারটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষা করার আগেই খালি প্যাডে চিকিৎসকের স্বাক্ষর করা অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া একজন মৃত ডাক্তার মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষর ব্যবহার করে ল্যাব রিপোর্ট দেয়া হতো। তিনি মারা গেছেন ছয় মাস আগে অর্থাৎ গত মে মাসে। আরো ভয়াবহ তথ্য হলো অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্টে স্বাক্ষর করতেন ডাক্তারের ড্রাইভার। মালিক আব্দুল বাকের পলাতক। মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার বলেন, মোহাম্মদপুর বাবর রোডের সন্ধী ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও গতকাল অভিযান চালানো হয়। এ সময় স্থায়ী টেকনোলজিস্ট না থাকায় প্রতিষ্ঠনটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে আনায় রাজিব ও মাইদুল নামের দুই দালালকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।