
ডেস্ক রিপোর্ট : : অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত বলিউডের সিনেমা 'পদ্মাবত'। তবে বিতর্ক যেন থামছেই না ইতিহাস নির্ভর এ সিনেমা নিয়ে।
নতুন করে জন্ম নেওয়া জটিলতা এবার সঞ্জয়লীলা বানশালীর 'পদ্মাবত' এর গান নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্রেয়া ঘোষালের গান বাদ পড়েছে সিনেমা থেকে।
স্পোর্টবয় বলছে, ২৫ জানুয়ারি মুক্তির দিন ঠিক হলেও ‘পদ্মাবত’ এর ওপর থেকে রোষের কোপ সরেনি। স্ক্রিপ্টে রদবদল করার পর বাদ পড়েছে ছবিতে শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া গানটিই। তাই নিয়ে উষ্মা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রেয়ার ভক্তদের মধ্যে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, শ্রেয়া তিনটি গান গাইবেন ছবির জন্য। কিন্তু অনলাইনে জিউক বক্স রিলিজ করার পর একটিই গান শোনা গিয়েছিল শ্রেয়ার কণ্ঠে। সেই গানটিই এবার বাদ গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
শ্রেয়াকে উদ্দেশ্য করে একজন ভক্ত টুইট করে বলেছেন, ‘এরপর থেকে প্রতিটা গানের জন্য আপনার আলাদা করে পারিশ্রমিক নেওয়া উচিত। ওরা তো আপনাকে দিয়ে গাইয়ে, সেই গানের মাধ্যমে প্রচার করে হাইপ তৈরি করে! তারপর দেখা যায়, সেই গানটাই ছবিতে নেই’!
শ্রেয়া অবশ্য শান্ত করার চেষ্টা করেছেন সেই ভক্তকে। পাল্টা টুইট করে বলেছেন, ‘প্লিজ রেগে যাবেন না। একটা ভাল ছবি বানাতে হলে অনেকরকম ক্রিয়েটিভ প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক গানই একটা ছবির জন্য রেকর্ড করা হয়। স্ক্রিপ্ট পাল্টালে তখন সেগুলো বাদও পড়ে। সেটা হয়তো দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতও’।
পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানশালীর 'পদ্মাবত' ভারতে ৭০০ বছর আগেকার চিতোরের রানী পদ্মিনীর জীবন নিয়ে তৈরি এক চলচ্চিত্র। কিন্তু কেন এই ছবির মুক্তিতে আপত্তি রাজপুত সংগঠনগুলোর।
রাজপুতানার ইতিহাস বলে, দিল্লির শাসক আলাউদ্দিন খিলজির কবল থেকে রক্ষা পেতে রানী পদ্মিনী ১৬ হাজার নারীকে নিয়ে চিতায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, 'পদ্মাবতী' সিনেমায় তার সেই মর্যাদা ও আত্মত্যাগকে খাটো করা হয়েছে।
রাজপুতদের দাবি, 'পদ্মাবত' ছবিতে রানী পদ্মীনির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন সঞ্জয়। ছবিতে রানী পদ্মীনির সঙ্গে তৎকালীন শাসক আলাউদ্দিন খিলজির প্রেম দেখিয়েছেন, যা আপত্তিকর।
এসব নিয়ে রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে রাজপুত সংগঠনগুলো এই ছবির বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখায়।
এক পর্যায়ে 'পদ্মাবত'-এর শুটিং সেটে হামলা, ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালী ও নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের মাথার দাম ঘোষণাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। এরপর নাম 'পদ্মাবতী'র পরিবর্তে 'পদ্মাবত' করাসহ ৫টি শর্তে সেন্সর বোর্ডের বাধা পার হয় ছবিটি।