
ডেস্ক রিপোর্ট : : সংবাদ শিরোনামে যিনি সবসময় থাকেন। সেই অমিতাভ বচ্চনকেই নাকি একসময় বয়কট করেছিল গণমাধ্যম।
বিগ বি জানিয়েছেন, একসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল তাঁর। প্রথমে তাঁকে বয়কট করা হয়। পরে তিনিও গণমাধ্যমকে বয়কট করেন। আর তা চলতে থাকে প্রায় ১৫ বছর।
সময়টা সাতের দশক। জরুরি অবস্থার সময়। হঠাৎই গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন। এ প্রসঙ্গে নিজের ব্লগে বিগ বি লিখেছিলেন, একটা সময়ের পর প্রেস আমার বিরুদ্ধে চলে যায়। কারণ, তাদের এক সোর্স বলেছিল যে, দেশে এমারজেন্সির আইডিয়াটা আমি দিয়েছিলাম!
প্রেসকে নিষিদ্ধ করার কথাও আমি বলেছিলাম। এর থেকে হাস্যকর কিছু ছিল না। তাই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। কোনও সাক্ষাৎকার নয়, কোনও ছবি নয়, কোনও খবর পর্যন্ত কেউ ছাপেনি।
বিগ বি আরও বলেছিলেন, সেই সময় দিওয়ার, লাওয়ারিশ , মুকাদ্দার কা সিকান্দর, শারাবির মতো ছবি মুক্তি পেয়েছিল। একের পর এক সব ব্লকবাস্টার হিটও হয়েছিল। কিন্তু, সেই সব খবর ছাপা হয়নি। বিগ বিকে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল গণমাধ্যম।
সেই সময় অমিতাভের মনে হয়েছিল, যদি প্রেসের তাঁকে নিষিদ্ধ করার স্বাধীনতা থাকে তাহলে তাঁরও স্বাধীনতা আছে প্রেসকে ব্যান করার। আর তাই প্রায় ১৫ বছর বিগ বি গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখেননি।
এ প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, তারা (প্রেস) নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ করেছিল। আমি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে আমার জীবন থেকে তাদেরকে (প্রেস) ব্যান করে দেব। প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর তারা আমার অস্তিত্ব এড়িয়ে গেছে। তাদের এজেন্সি আমার খবর ছাপেনি।
এরপর কুলি ছবিতে বিগ বি’র গুরুতর আহত হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়। এ প্রসঙ্গে বিগ বি লিখেছিলেন, কুলি ছবির সময় আমার শারীরিক অবস্থার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তারা আমার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল।
স্টারডাস্টের মালিক নারি হিরা আমাকে বলেছিলেন, তোমাকে আমরা ফিল করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনও চাইনি তুমি মরে যাও।
২০১৩ সালে বিগ বি নিজের ব্লগে তাঁর এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন।