
ডেস্ক রিপোর্ট : : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার ভোররাতে লাখো লাখো চলচ্চিত্রপ্রেমীকে কাঁদিয়ে না ফেরার
দেশে চলে গিয়েছেন কিংবদন্তি নায়িকা শ্রীদেবী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে। তার মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন দেবর সঞ্জয় কাপূর।
শ্রীদেবীর মৃত্যুতে শোকাহত দেবর সঞ্জয় কাপূর জানিয়েছেন, শ্রীদেবীর কোনও হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস ছিল না। হৃদরোগ জনিত কোনও সমস্যাই ছিল না। তবে মৃত্যুর সময়ে বাথরুমে ছিলেন শ্রীদেবী। কাউকে ডাকতেও পারেননি। দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল। বনি কাপূর যতক্ষণে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীর খোঁজ করেছেন, ততক্ষণে শ্রীদেবীর দেহ নিথর হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোহিত মারওয়ার বিয়েতে কাপূর পরিবারের সবাই উড়ে গিয়েছিলেন দুবাই। অনুষ্ঠান শেষে অন্যান্যরা ফিরে এলেও বনি কাপূর, শ্রীদেবী ও ছোট মেয়ে খুশি সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কয়েকদিন কাছেপিঠে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসার কথা ছিল। কে জানত, শ্রীদেবী সেই রাতেই পড়বেন এক অনিঃশেষ যাত্রায়, যেখানে একাই যেতে হয়!
শ্রীদেবীর মৃত্যুতে এবারে সামনে উঠে এসছে নতুন তথ্য। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে ৪৮ ঘণ্টা দেখা যায়নি শ্রীদেবীকে। এসময় তিনি হোটেলে ছিলেন বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। খবর এবেলার।
খবরে বলা হয়েছে, দুবাইতে আত্মীয়ের বিয়েতে গেলেও দুই দিনের জন্য মুম্বাইতে ফিরেছিলেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপূর। কিন্তু দুবাইতেই থেকে যান অভিনেত্রী। শনিবার রাতে শ্রীদেবীর একটি নৈশভোজের নিমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু সেখানেও তিনি যাননি। শনিবার রাতেই হোটেল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। হোটেলের টয়লেটে গিয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। সেখানেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
তবে মৃত্যুর আগের ৪৮ ঘণ্টা কেন হোটেলের ঘর ছেড়ে বেরোলেন না শ্রীদেবী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসময় তিনি কি সত্যি হোটেলে ছিলেন? বনি কাপূরের ভাই অভিনেতা সঞ্জয় কাপূর অবশ্য দাবি করেছেন, হৃদরোগজনিত কোনও সমস্যাই ছিল না শ্রীদেবীর।
এদিকে মৃত্যুর পরে দুবাইতেই শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তার দেহ আনার জন্য মুম্বাই থেকে শিল্পপতি অনিল অম্বানির চার্টার্ড বিমান রওনা দিয়েছে। রোববার রাতেই শ্রীদেবীর নিথর দেহ নিয়ে সেই বিমানের মুম্বাই ফেরার কথা।
এখনও দুবাই ছাড়ার অনুমতি পায়নি শ্রীদেবীর লাশ
কখন এসে পৌঁছবে শ্রীদেবীর লাশ, তারই অপেক্ষায় বসে পরিবার, আত্মীয় পরিজনেরা। অপেক্ষায় বলিউডে তার নানা বয়সের সহকর্মীরা। অপেক্ষায় আছেন অনুরাগীরাও। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মুম্বাইয়ের লোখাণ্ডওয়ালায় তাদের বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, শ্রীদেবীর বাড়ি এবং আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাও জোরদার করেছে পুলিশ।
দুবাইতে শ্রীদেবীর সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কাপূর ও ছোট মেয়ে খুশি। মৃত্যুর খবর পেয়ে রোববার সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বনির ভাই অভিনেতা সঞ্জয় কাপূরও।
কখন আনা হবে নায়িকার মরদেহ? সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে কখন দুবাই ছাড়ার অনুমতি মিলবে তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই।
জানা গিয়েছে, দুবাইতে শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। সবকিছু মিটলে, প্রাইভেট জেটে দেহ ফেরানো হবে মুম্বাইতে। রোববার রাতের মধ্যেই দেহ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। সোমবার শেষকৃত্য হওয়ার কথা শ্রীদেবীর।
শনিবার রাতে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে হঠাৎই মারা যান শ্রীদেবী। বুকে ব্যথা। আর তাতেই কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ।
দুবাই গিয়েছিলেন ভাইপোর বিয়েতে। গত সোমবার থেকে ইনস্টাগ্রামে মাঝে মাঝেই আপডেট দিচ্ছিলেন ভাইপো অভিনেতা মোহিত মারওয়ার বিয়েতে কেমন সেজেছেন তিনি। কী করছেন, কারা রয়েছেন তার সঙ্গে। হঠাৎ পাঁচদিনের মাথায় এমন ঘটনার কথা স্বপ্নেও কেউ ভাবেননি!