
বিনোদন ডেস্ক :: মাত্র ১০ দিন হল মা শ্রীদেবীকে হারিয়েছেন জাহ্নবী। এরই মধ্যে এমন আনন্দে তিনি মাতলেন কিভাবে?
এ প্রশ্ন এখন জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে। আর সে সঙ্গে নেটদুনিয়ায় তাকে নিয়ে চলছে নিন্দার ঝড়। ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের ‘রূপ কি রানি’ শ্রীদেবী। এ খবরটা সবাইকে চমকে দিয়েছিল। কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না সুস্থ-স্বাভাবিক এ মানুষটি চিরতরে বিদায় নিয়েছেন।
সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। আর তারই মধ্যে গত ৬ই মার্চ মেয়ে জাহ্নবী কাপুর পা দিয়েছেন ২১ বছরে। মা’কে ছাড়াই কাটাতে হবে জন্মদিনটা। বিষয়টা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক। এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই। সেদিন জাহ্নবী নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করেননি। কিন্তু বোন অনশুলা কাপুরের পোস্টে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে কীভাবে জন্মদিনটা কেটেছে শ্রীদেবী-কন্যার। আর সেই ছবি পোস্ট হওয়ার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ খবর দিয়েছে কলকাতার দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন। সে খবরে আরও বলা হয়, অনশুলা যে ছবিটি পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নয়, জাহ্নবীর জন্মদিনে কাটা হয়েছিল বেশ কয়েকটি কেক। হাজির ছিলেন আরেক বোন সোনম কাপুর, বোন খুশিও। হতেই পারে, মা হারা সৎ বোনের মন ভালো করতেই হয়তো এমন আয়োজন। কিন্তু জাহ্নবী যে সদ্য মা হারিয়ে কষ্টে রয়েছেন, তা তো তার হাসিতে ধরা পড়ছে না! বেশ খোশমেজাজেই রয়েছেন তিনি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজও দিয়েছেন। তবে কি মায়ের মৃত্যুশোক এত তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন? এমন প্রশ্নই তুলেছেন নেটিজেনরা। আর যদি জাহ্নবীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বার্থডে পার্টির বন্দোবস্ত হয়েই থাকে, তাহলেই বা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মানে কী? তবে কি কাপুর পরিবার শ্রীদেবীর শূন্যতা কাটিয়ে উঠেছে? এভাবেই সোশ্যাল সাইটে ছবিটি নিয়ে চলছে হাসি-মশকরা ও সমালোচনা। এক নেটিজেন লিখেছেন, মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই বার্থডে সেলিব্রেট করতে হল? মায়ের কাজের জন্য কি ১৩টা দিনও অপেক্ষা করা গেল না? কেউই চায় না দীর্ঘদিন ধরে কাপুর পরিবারের চোখে পানি দেখতে। কিন্তু অন্তত শোকের রেশটা কাটার সময়টুকু তো দেওয়াই যেত। তাই এই সময় এমন ছবি সত্যিই বেমানান। অন্য এক নেটিজেন হতাশার সুরেই বলছেন, ‘বালাই ষাট, কিন্তু কোনো কাছের মানুষকে হারিয়ে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এভাবে হাসতে পারতাম না, যেভাবে জাহ্নবীকে দেখা যাচ্ছে।’ অনেকের মতে আবার জাহ্নবী, সোনমরা সেলিব্রিটি। তাদের দেখে অনেকেই অনুপ্রেরণা পান। তাই শোকের আবহে এমন সেলিব্রেশনের ছবি কোথাও তাদের ভাবমূর্তিই ক্ষুন্ন করে। পুরো বিষয়টাকে ইচ্ছা করলেই গোপন রাখা যেত। তবে জাহ্নবীর পাশেও থেকেছেন অনেকে। শ্রীদেবীকন্যা যে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন, তা ভেবেই খুশি তারা। তাই নিন্দুকদের কথায় কান না দেওয়াই ভালো বলে মনে করছেন তারা। মায়ের মতোই নিজের জন্মদিনের সকালে অনাথ আশ্রমে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ছবি নিয়ে যতই মশকরা হোক, জাহ্নবীই জানেন তিনি কী হারিয়েছেন। তাই তিনিই সবচেয়ে ভালো জানবেন তাকে কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে।