
ডেস্ক রিপোর্ট : : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মুঠোফোনের অপব্যবহার করে অশ্লীল পর্নোগ্রাফি উপাত্ত প্রচার এবং
অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপিকাসহ সাধারণ তরুণীদের উত্ত্যক্ত, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থেকে শিহাব মাহমুদ ফাহিম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দুজন মডেল ও টিভি উপস্থাপিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির বিশেষ ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে।
যোগাযোগ করা হলে র্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফ জানান, শিহাব মাহমুদ ফাহিম নামে ওই ব্যক্তির নামে বিভিন্ন অভিনেত্রীদের ফটোশপকৃত অশ্লীল ছবি ব্যবহার করে নিজের পরিচালিত ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে প্রচার করত যা পর্নোগ্রাফি আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। এ সমস্ত কুরুচিপূর্ণ পোস্টের কারণে অনেকে সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছে।
মামলার বাদী তরুণী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সাথে হয়ে যাওয়া অধিকাংশ অন্যায়ের ব্যাপারে নারীরা এখনো নীরব। কিন্তু সাইবার আইনের দারুণ উৎকর্ষের এই যুগে যদি কেউ এগিয়ে না আসে আমাদের বিরুদ্ধে হেনস্তা হবার ব্যাপারে- তাহলে তা অন্যায়কে সমর্থন দেয়া হয়ে যায়। তাই একরকম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমি আমার ওপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের ব্যাপারে এগিয়ে এসেছি।
আরেক ভুক্তভোগী জানান, শিহাম মাহমুদ ফাহিম নামের এই ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে নানা সময়ে বিজ্ঞাপন চিত্রের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের নানাভাবে ফাদে ফেলতে চাইত, তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে তার পরিচালিত ফেইসবুক পেইজগুলো থেকে ঐ সমস্ত তরুণীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করত। সবশেষ আমাকেও কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আমি শুরুতেই তার প্রতারণা বুঝতে পেরে র্যাবে অভিযোগ করি।
আটক অভিযুক্ত শিহাব মাহমুদ ফাহিম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ তে অধ্যয়ন করছেন। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অশ্লীল ফেসবুক পেইজ পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২/৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর-২০, তারিখ ৮/১২/২০১৭।