
ডেস্ক রিপোর্ট : : জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও রেহানের সংসার ভেঙ্গেছে মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশার কারণেই।
ডিভোর্স হবার পর থেকেই এসব অভিযোগ করে আসছেন হাবিবের সাবেক স্ত্রী রেহান।
এদিকে হাবিব ও রেহানের ডিভোর্স হবার পর থেকেই নাকি তানজিন তিশা ক্রমাগত মেসেজ ও নানান মাধ্যমে রেহানকে ভয় দেখানো ও বিরক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও বলেছিলেন রেহান। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় রেহানকে পাঠানো কিছু মেসেসের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করলেন হাবিবের এ সাবেক স্ত্রী। যেখানে বেশ আগ্রাসী ভূমিকাতেই দেখা গেছে অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে।
স্কিনশট এর সঙ্গে সংযুক্ত স্ট্যাটাসে রেহান লেখেন, ‘এই মেয়েটা কখনোই চেঞ্জ হবে না, উল্টা পাল্টা কি লেখে এসব আমাকে, সি ইস কমপ্লিট মেন্টালি স্টিক!!!! উফ! আমার ছোট ভাইয়ের নম্বর রাত বিরাতে ফোন দাও আমাকে খোঁজ, আবার আমাকে এই টেক্স দিচ্ছ? লল পুরা মাথা নষ্ট!’
ফাঁস হওয়া ঐ ম্যাসেজে তানজিন তিশা লেখেন, ‘ওই ভোদাইম্মামা আলিম এর কেয়ারতো করো না, সারাদিন এইসব করো। তুমিতো ধরা খাইলা লিয়ার। আমার হাবিবকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলার আগে হাজারবার চিন্তা করবা! এবং আবারো বলছি ডিস্টার্ব করছো আমাকে। কেন? আমিসহ সবাই বুঝতেছি না কেন তুমি ডিভোর্সের পর আশা করো হাবিব উত্তর দিবে আমার সম্পর্কে? কত দুঃসাহস তোমার? আন্টিকে জিজ্ঞাস করো আমার সম্পর্কে? ডিভোর্সের পর তোমার এই রাইট আছে? লল প্লিজ গ্রো আপ। হাবিবের পিছু ছাড়! আলিমের মা হিসেবে আছো থাক। হাবিবের পারসোনাল লাইফ নিয়ে ইন্টারফেয়ার করার অধিকার তোমার নাই বুঝছো হাবিবের এক্স বউ? গ্রো আপ! আর আমি হাবিবের লাইফে কিভাবে আছি সেটা তোমাকে বলবো না এটা আমাদের পারসোনাল। উইথ আউট আলিম ডোন্ট টাই টু আক্স সামথিং এবাউট মি! মাইন্ডি ইট! খবরদার ছেছড়া মহিলা আমাদের নিয়ে ইন্টারফেয়ার করবি না। আমাকে একটা নক বা ম্যাসেস দিবা না, আই এম ওয়ার্নিং ইউ নির্লজ্জ। আফটার ডিভোর্স এইসব করেছি।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রেহানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রেহান বলেন, `তিশা বিভিন্ন নম্বর থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে ফোন দেয়। রাতে ঘুমাতে দেয় না। আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার ছোট ভাইয়ের নম্বরে রাতে তিনটার সময় ফোন দেয়। দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। ফোন রিসিভ করলে অভিযোগ করে হাবিব নাকি আমার বাসায়। একদম মানসিক রোগী তিশা। কত নম্বর যে সে ব্যবহার করে। কথা হলো আমার ছোট ভাইয়ের নম্বর পেলো কই তিশা ? আর তার কথায় বুঝা যায় তিশা একজন মানসিক রোগী। সে একটা পাগল।’
২০১১ সালে চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানকে বিয়ে করেন হাবিব। হাবিব-রেহানের ঘরে আলিম ওয়াহিদ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। আলিম ওয়াহিদ বর্তমানে তার মায়ের কাছেই রয়েছে।
এবার আর বসে থাকব না, মামলা করব: তিশা
'অনেক হয়েছে, এবার আর বসে থাকব না, মামলা করব। রেহান কিভাবে আমার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরসহ স্ক্রিনশট দিয়ে ফেসবুকে ছড়ালো।
তার উদ্দেশ্য যে কতটা খারাপ তা বোঝা গেল। 'হাবিব ওয়াহিদের সাবেক স্ত্রী রেহানের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে এভাবেই নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন তানজিন তিশা।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন রেহান। সেখানে তিনি একটি স্ক্রিনশট আপলোড করেন। স্ক্রিনশটের কথোপকথনগুলো তানজিন তিশার, যা তিনি রেহানকে বলেছেন।
তিশা বলেন, প্রতিনিয়ত রেহান হাবিবকে মেসেজ অথবা ফোন করে বিরক্ত করে। এমনকি আমাকেও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করে। সে এখন হাবিবের অতীত। তারপরও সে কোন উদ্দেশে এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে সেই প্রশ্নটি আপনাদের কাছেই রইলো।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে ভয়ানক কাজটি হল, আমার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরটি স্ক্রিনশটসহ প্রকাশ করলো। এটাও এক ধরনের ক্রাইম। ইতোমধ্যে আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলেছি। তারাও বিষয়টি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। আর ছাড় দিব না। এবার হয়তো মামলা পর্যন্ত গড়াবে।
অন্যদিকে ডিভোর্সের পর থেকে তানজিন তিশার জন্যই ঘর ভেঙেছে বলে অভিযোগ করে আসছেন রেহান। ডিভোর্স হওয়ার পর থেকেই নাকি তানজিন তিশা ক্রমাগত মেসেজের পাশাপাশি নানা মাধ্যমে রেহানকে ভয় দেখানো ও বিরক্ত করে আসছিল। বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও অভিযোগ করেছেন। এমনকি এ বিষয়ে একাধিক স্ট্যাটাসও দিয়েছে।
এদিকে স্ক্রিনশট সর্ম্পকে জানতে চাইলে রেহান বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই আজ এটা প্রকাশ করলাম। সে শুধু আমাকে নয় আমার ভাইয়ের মোবাইলেও মাঝে একবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করেছে। আর তিশা যদি মামলা করতে চায় তাও করুক।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানকে বিয়ে করেন হাবিব। হাবিব-রেহানার ঘরে আলিম ওয়াহিদ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলে আলিম ওয়াহিদ এখন তার মায়ের কাছেই রয়েছে।