
ডেস্ক রিপোট:: ইংলিশদের তখনও প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৪১ রান।
স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তান। খেলাটা প্রায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই নিয়ে এসেছিল তারা। কিন্তু তারপরই যেন ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ সরে যায় তাদের ওপর থেকে। সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ষোড়শ ওভারে এক বল করতে জেগে উঠে চোট! ফের বেরিয়ে যেতে হয় মাঠ থেকে। বদলি বোলার হিসেবে ইফতিখার শেষ দুই বলে হজম করলেন ছক্কা আর চার। আর তাতেই মোড় ঘুরে যায় ম্যাচের। নিয়ন্ত্রণ চলে আসে ইংল্যান্ডের হাতে। বেন স্টোকস হাকান ফিফটি।
ওয়াসিমের বলটা মিডউইকেটে খেলেই উল্লাসে মাতলেন বেন স্টোকস। তাতেই এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় বারের মতো তারা জিতে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরার মুকুট। ২০১৯ বিশ্বকাপে যেমন ইংল্যান্ডকে খাঁদের কিনারা থেকে তুলে এনেছিলেন বেন স্টোকস। আজও ফাইনালে সেই স্টোকস খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে জয় নিয়ে ছেড়েছেন মাঠ।
স্টোকস যেন ২০১৬ সালের দায়মোচন হলো তা দিয়েই! মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে হারিয়ে এ শিরোপা জিতে প্রথম দল হিসেবে একইসঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি এখন ইংল্যান্ডের কাছে!
অথচ ইনিংসের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে চলছিল পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসকে ফিরিয়ে দেয় তারা। পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংলিশরা। দশম ওভারে চতুর্থ বলে শেষ বাউন্ডারি মারার পর দীর্ঘক্ষণ ছিল তারা বাউন্ডারিহীন। কিন্তু বেন স্টোকস যেন ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডকে শিরোপা জেতানো ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনার জন্য। তার ব্যাটেই ঘুরে যায় খেলার মোড়। সঙ্গে মঈন আলির ব্যাটও চলছিল সমান গতিতে।
এ দুজনেই যেন ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন ইংল্যান্ডের জন্য। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা জিতে নিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব সেরার মুকুট।
৪৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় বেন স্টোকস খেলেন ৫২ রানের একটি ইনিংস। এছাড়া ১২ বলে ৩ চারে ১৯ রান করেন মঈন আলি। অধিনায়ক জস বাটলার করেন ২৬ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ২৩ রান দিয়ে হারিস রউফ নেন দুটি উইকেট। এছাড়া আফ্রিদি, শাদাব ও ওয়াসিম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।