
এশিয়া খবর ডেস্ক :: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে স্ত্রী দাবি করার অভিযোগে শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বদলি আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দেখে পরবর্তী বিচারের জন্য মামলাটি বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। আর সেখানে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করবে কি না সে বিষয় আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল।
এরআগে গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহরাব মিয়া প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাহির সঙ্গে স্বামী দাবিদার শাওনের বিয়ে হয়েছিল বলে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। অভিযোগটি তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হওয়ায় শাওনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে শাওন ও মাহির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভলিউম নং ১৮৬/১৫, পৃষ্ঠা ৬৫-তে এ বিয়ের রেজিস্ট্রার হয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা এ বিয়ের রেজিস্টার জব্দ করে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এসআই সোহরাব বলেন, ‘শাওন ও মাহির বিয়ে হয়েছে। এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র আমি নিজেই জব্দ করেছি।’ তাদের বিয়ের মাসখানেকের মধ্যে চল”িচত্রে কাজ করা নিয়ে বিবাদীর সাথে বিবাদে জড়ালে তারা আলাদাভাবে বসবাস শুরুসহ খোলা তালাক কার্যকর করা হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তীতে মাহি গত বছরের ২৫ মে আবার বিয়ে করেন বলেন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নায়িকা মাহি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।
জানা যায়, মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে গত বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম জামিন দেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় স্বামী দাবিদার শাওনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাওনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শাওনের দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে কম্পিউটার জব্দ করে।
নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর বিয়ের পরের দিন থেকেই কয়েকটি গণমাধ্যমে মাহির ‘একাধিক বিয়ে-সংক্রান্ত’ কিছু ছবি প্রকাশ হতে থাকে। সেখানে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি দাবি করা হয়, এর আগেও একাধিকবার মাহির বিয়ে হয়েছে।
ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।আর শাওন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।