
এশিয়া খবর২৪ ডেস্ক :: মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে চীনে যাওয়া হচ্ছে না জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের, সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া সত্তে¡
ও তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে মিস ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক কমিটি। ফলে ডিসেম্বরে চীনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিন-এ এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ আয়োজক অন্তর শোবিজ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিস ওয়ার্ল্ডের মূল প্রতিযোগিতার নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভোর্সি, সিঙ্গেল মাদারেরা অংশ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে এভ্রিলের অংশগ্রহণ অবৈধ নয়। কারণ তার বিয়ে হলেও তিনি এখন সিঙ্গেল।
সংবাদ সম্মেলনে বিবি রাসেল বলেন, বিচারকদের রায়ে ৫১ নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়েছেন এভ্রিল, ৪৮ নাম্বার পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন জেসিয়া এবং ৪৭ পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন হিমি। তিন জনেরই উচ্চতা ৫.৮।
আয়োজরা বলেন, মিস ওয়ার্ল্ড সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে আমরা সকালে আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে সহায়তা চেয়েছি। আমাদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় তারা জানিয়েছে, ‘ডিভোর্সি বা অবিবাহিত নারীর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে কোন সমস্যা নেই। তবে তার সত্যি কথা প্রথমেই বলা দরকার ছিল, সে তথ্য গোপন করেছে তাই আমরা তাকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে উৎসাহিত করব না। এক্ষেত্রে আয়োজক এবং বিচারকরা রানার্সআপ দুইজনের মধ্যে কাউকে চ‚ড়ান্ত মনোনায়ন দিতে পাঠাতে পারেন।
এর ফলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে চীনে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকরা চূড়ান্ত বিজয়ীকে নির্বাচন করেন। প্রায় ২৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হন এভ্রিল। তবে এভ্রিলকে বিজয়ী ঘোষণা করার আগে উপস্থাপক শিনা চৌহান হিমিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন। পরে আয়োজকদের মধ্যে একজন এসে আবার এভ্রিলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপরই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি পূর্বে বিয়ে করেছিলেন। আর এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে বিয়ের কথা স্বীকার করে এভ্রিল বলেন, ১৬ বছর বয়সে আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আগামী ১৪ নভেম্বর চীনের সাংহাই শহরে অনুষ্ঠিত হবে ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা।