রাজশাহী প্রতিনিধিঃ: রাজশাহীতে ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণ।
কয়েকদিন স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করলেও হঠাৎ করেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রাজশাহী জেলায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছে ৩২৫ জন।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষঞ্জদের মতে, জনগণের অসচেতনতার কারণেই মূলত সামাজিক সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ।
রবিবার (২৭ জুন) সকালে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার। তিনি বলেন, রাজশাহী জেলায় শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে রবিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীতে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৬০৬ জনের। এর মধ্যে ৩২৫ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এতে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
রাজশাহী সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আরটিপিসিআর মেশিনে ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় হয়েছে, এতে শনাক্ত হয়েছেন ১২৯ জন। অন্যদিকে, রাজশাহীর ৯ উপজেলায় মোট ২৮৯ জনের র্যাপিড অ্যান্টেজেন টেস্টে করা হয়। এতে শনাক্ত হন ৬৯ জন। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে ৯২৫ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ১৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘন্টায় কোনো প্রকার জিন এক্সপার্ট টেস্ট করা হয়নি।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে, মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩৪ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ জুন করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিল ৪০৪, ২৫ জুনে ৪২৩ জন, ২৬ জুনে ৪৩১ জন এবং আজ রবিবার পর্যন্ত তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৪৩৪ জন। গত মে থেকে জুন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে রামেকের করোনা ইউনিটে । সেই সাথে থেমে নেই মৃত্যু হারও, যা চরম উদ্বেগজনক একটি।
এবিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলছেন, রাজশাহী জেলার করোনা পরিস্থিত দিন দিন খুবই ভয়াবহ দিকে ধাবিত হচ্ছে। জনগণ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানেন তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তবে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন কিছুটা হলেও কাজে দেবে বলে ধারণা করছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার।