
আদালত প্রতিবেদক:: চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ইমন ওরফে সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের
তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম দেব্রবত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম তদন্ত শুরু করেন। তিনি তদন্ত শুরুর পর ১০ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও একজন সাক্ষীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ করা সাক্ষীরা হলেন, প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহের মা নিলুফা চৌধুরি ওরফে নীলা চৌধুরি, ঘটনার সময়ের সাক্ষী হুমায়ুন কবির, আ. সালাম, দেলোয়ার হোসেন শিকদার, আ. খালেক হাওলাদার, বাদল খন্দকার (চলচিত্র পরিচালক), শাহ আলম কিরণ (চলচিত্র পরিচালক), মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এম আলোক সিকদার ও হারুন অর রশিদ। নারাজীর আসামি রুবির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেছেন। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর সালমান শাহের মামা অ্যামেরিকা প্রবাসী আলমগীর কুমকুম জবানবন্দি সাক্ষী হিসেবে আদালত কর্তৃক রেকর্ড করান।
পিবিআই তদন্তাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থাকা এ মামলার নারাজীর আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি গত ৭ আগস্ট ফেইসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওবার্তায় রুবি বলেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। তাকে খুন করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের ১১/বি নিউস্কাটন রোর্ডের স্কাটন প্লাজার বাসান নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে প্রথমে হলি ফ্যামেলি পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের ওপর নারাজীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালত র্যাবকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিশন করলে র্যাবকে দেওয়া তদন্তের আদেশ বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
শালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী নারাজীতে মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর ১০ জন হলেন, সালমানশাহের স্ত্রী সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, এফ ডিসির সহকারী নিত্য পরিচালক নজরুল শেখ নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা বেগম।