
গাইবান্ধা প্রতিনিধি : : স্বামীকে গ্রেফতার ও সন্তানের সন্ধান চেয়ে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন শামীমা নাসরিন নামের এক গৃহবধু। শামীমা নাসরিনের বাবার বাড়ি গাাইবান্ধা শহরের থানাপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত সদরুল আমিনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, ২০০২ সালের ২৫ জুন ঢাকার খিলগাঁও থানার দক্ষিন বনশ্রী এলাকার সাইফুল হকের সাথে আমার বিয়ে হয়। এরপর দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে ইন্সুরেন্সের কথা বলে আমার কাছ থেকে কৌশলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে তালাক দেন সাইফুল।
পরবর্তীতে চাকরির অসুবিধা হতে পারে বিবেচনায় আবারও ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর কাবিননামার মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। তাসিনুল হক নামে ১৩ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে আমাদের। গত দুই বছর থেকে গাইবান্ধায় বাবার বাড়িতে থাকছি আমি।
তিনি আরও বলেন, গতবছরের ২২ আগস্ট সাইফুলের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করি। গতবছর ১১ ডিসেম্বর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও এখন পর্যন্ত সাইফুল গ্রেপ্তার হননি। শামীমা সুলতানা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমার সন্তানকে কোথায় কি অবস্থায় রাখা হয়েছে তাও আমি জানিনা। আমি সাইফুল হককে গ্রেফতার ও আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
শামীমা নাসরিনের আইনজীবী সারওয়ার হোসেন বাবুল জানান, মেজর সাইফুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত। তাকে আদালতে হাজির হবার জন্য তিনবার সমন জারি করা হয়েছিল। তিনি হাজির না হওয়ায় পরে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাইফুল হককে গ্রেফতার করা হয়নি।