
নিউজ ডেস্ক:: ডিপ্রেশন শব্দটা ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠছে প্রত্যেকের কাছে। বদলে যাওয়া
লাইফস্টাইল আর মানসিক চাপে এই মানসিক অবসাদের শিকার অনেকেই। সেলেব্রিটিরাও বাদ যান না। শোনা যায়, একসময় দীপিকা পাড়ুকোনও ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার কাহিনীও বলে থাকেন তিনি। তবে, এবার বিস্ফোরক বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক মহেশ ভাট। বললেন তাঁর মেয়ের কথা।
ছবির ট্রেলার লঞ্চ করতে গিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সেখানেই উঠে আসে ডিপ্রেশনের প্রশ্ন। নিজের বাড়িতে এবং ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানান মহেশ ভাট।
প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মহেশ ভাট বলেন, ”মাত্র ১২-১৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিল আমার মেয়ে শাহিন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বোঝা যায় যে সে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের শিকার।” তিনি আরও বলেন, ”শুধু বাড়িতে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতেই এরকম ঘটনা ঘটতে দেখেছি। একটি মেয়ে কাজের জন্য এসেছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। পরে সে আত্মহত্যা করে, আজও তার মৃতদেহটা মনে করলে শিউরে উঠি।” মুম্বই শহরের এই অন্ধকার দিকটাও তিনি দেখেছেন বলে দাবি করেন মহেশ ভাট।
আলিয়া ভাটের বোন শাহিনের ডিপ্রেশনের কথাও আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। অক্টোবরেই প্রকাশ্যে আসবে শাহিনের লেখা একটি বই, সেখানে তাঁর মানসিক অবস্থার কথা লেখা থাকবে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে মহেশ ভাট মন্তব্য করেন, ”এটা খুবই কঠিন একটা ব্যবসা। তাই সবাই এটা করতে পারে না। আর এই ব্যবসায় ডিপ্রেশনের দিকে চলে যায় মানুষ।” ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, একটা ট্রেলার লঞ্চ করার পর, সবসময় মনে হয় হাততালি পড়বে তো? মানুষ প্রশংসা করবে, এটা ভাবতে অনেক সাহস দরকার হয়। তাঁর কথায়, একজন ফিল্মমেকার যত বড়ই হন না কেন, ছবি মুক্তি পেলেই সবাই আতঙ্কে থাকে। এটাই বিনোদন জগতের বৈশিষ্ট্য বলে জানান মহেশ ভাট। এসবের মধ্যে বেশির ভাব লোকই তাই ভয়ে পালিয়ে যায়, কয়েকজনই সফল হতে পারে।