
ডেস্ক রিপোর্ট : : বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জল নক্ষত্র নায়ক রাজ-রাজ্জাকের ছেলে বাপ্পারাজ আবেগঘন পরিবেশে বলেছেন,
‘আর কোন দিন এফডিসিতে আসবো না, যদি আপনারা সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেন, মামলা না তুলেন, হয়তো এটাই হবে আপনাদের সঙ্গে আমার শেষ দেখা। আমিও হয় তো ভুল করে অনেক কথা বলেছি। আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন।’
শনিবার বিএফডিসিতে নায়ক রাজ-রাজ্জাক স্মরণে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাপ্পারাজ বলেন. আজ আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রিতে অনেক বাহিরের লোক ঢুকে পড়েছে। যারা আমাদেরকে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে তালি বাজাচ্ছে। আমাদের ইন্ড্রস্ট্রি এখন বাইরের লোকের হাতে। আমরা এখন আমাদের নিজেদেরই সম্মান দিতে পারছিনা।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই বলেন শাকিব খানকে ডাকলে আসে না- বেয়াদব ইত্যাদি। সুচন্দা ম্যাডাম যদি শাকিবকে বলেন, তুমি পরিচালক সমিতিতে আসো। শাকিবের বাপের ক্ষমতা নেই না এসে পারবে। এটার জন্য মামলা করার দরকার নেই। উকিল নোটিশ পাঠানোর দরকার হয় না। পুলিশ পাঠানোর দরকার হয় না। যারা বেঁচে আছেন তাদের সম্মান দেবেন। রাজ্জাক সাহেব কখনো বিরোধ করেননি। বহিষ্কার করেননি। তার সম্মানে ক্ষমা করে দেন। আমিও ভুল করেছি। আমাকেও মাফ করে দেন। কাল থেকে সকল বহিষ্কার তুলে নেন। পরিবার কখনো কাউকে বহিষ্কার করে না। শাসন করে।’
সবাইকে এক সাথে মিলেমিশে কাজ করা এবং নিষিদ্ধ নামের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বাপ্পারাজ আরো বলেন, ‘আব্বাকে মাটি দেয়ার পর পিছন ফিরে দেখি শাকিব এবং জায়েদ খানকে। তখন তাদেরকে বলি, তোমরা দুজন গলাগলি করো, কোন ক্লাশে যাবা না। আজকে একটা দাবি নিয়ে আমি এসেছি। এখানে সবাই আছেন, অনেক সিনিয়ররা আছেন, আমি হাত জোড় করে বলবো-আমার বাবা চলে গেছেন, তাঁর ওসিলায়, তার সম্মানে, আজকে এই ব্যানড(নিষিদ্ধ) খেলাটা বন্ধ করে দিন।
শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক, আলমগীর, সোহেল রানা, সুচন্দা, রোজিনা, ফেরদৌস, নূতন, মিশা সওদাগর, ওমর সানী, আমজাদ হোসেন, মতিন রহমান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, জায়েদ খান, বাপ্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক খসরু, ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, এফডিসির এমডি তপন কুমার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সবার মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।