
এশিয়া খবর২৪ ডেস্ক :: - ভারতের রামুজি ফিল্মসিটিতে চলছে রোশান ববির ‘বেপরোয়া’ ছবির শুটিং।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় এই ছবিটি পরিচালনা করছেন কলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ। গত সপ্তাহ থেকে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।
যৌথ প্রযোজনা নয়, এটি বাংলাদেশের ছবি হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ। শুটিং শুরু হয়েছিল এফডিসিতে, কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারের বাধার মুখে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে জানানো হয় ছবিটি মুক্তি পাবে না আমাদের দেশে।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে হায়দরাবাদের রামুজি ফিল্মসিটিতে ছবির শুটিং শুরু হয়। টানা শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছবির কাজ শেষ হবে।’
এফডিসিতে শুটিং বন্ধ করে কেন ভারতে শুটিং হচ্ছে জানতে চাইলে খোকন বলেন, ‘আমরা এফডিসিতে ছবির শুটিং শুরু করেছিলাম, কিন্তু দুদিন শুটিং করার পর বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হই, যে কারণে আমরা ছবির শুটিং এখন ভারতে করছি। তা ছাড়া এটি যৌথ প্রযোজনার ছবি নয় যে দুই দেশে সমান সমান শুটিং করতে হবে। এটি বাংলাদেশের ছবি, গল্পের প্রয়োজনে আমরা বিশ্বের যেকোনো দেশে ছবির শুট করতে পারি।’
ছবির চরিত্ররা বাংলাদেশের, পরিচালক কলকাতার কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘জাজ প্রথম থেকেই মানসম্পন্ন ছবি উপহার দিয়ে আসছে। আমরা মনে করি রাজা চন্দ অনেক ভালো ডিরেক্টর, তিনি কাজটি করলে ভালো কিছু পাব। আমাদের আরেকটা চাওয়া ছিল, সেটি হলো, বাংলাদেশের টেকনিশিয়ানরা তাঁদের কাছ থেকে কাজ শিখবে, এ কারণে আমরা সহকারী পরিচালক আমাদের দেশের রেখেছিলাম, যেন তাঁরা কাজ শিখে ভবিষ্যতে ভালো ছবি আমাদের উপহার দিতে পারে।’
ছবিটি বাংলাদেশে কেন শুটিং করতে পারেনি জানতে চাইলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘বাংলাদেশের ছবিতে বিশ্বের যেকোনো দেশের পরিচালক এসে কাজ করতে পারবেন। আমরা বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু দেশের নিয়ম মেনে তা করতে হবে। এখানে আসলে রাজা চন্দ অবৈধভাবে কাজ করছিলেন। যে কারণে তিনি এখানে কাজটি বন্ধ করে এখন ভারতে শুটিং করছেন। কিন্তু ছবিটি আমাদের দেশে মুক্তি পাবে না।’
পরিচালকের অবৈধভাবে কাজের বিষয়ে বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো বিদেশি পরিচালক কাজ করলে প্রথমে তাঁকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য পদ নিতে হবে। রাজা চন্দ সাহেবও আমাদের সমিতিতে এসেছিলেন। আমরা উনাকে সম্মানের সঙ্গে আপ্যায়ন করেছি, কিন্তু সমস্যা হয়েছে উনার কাছে ওয়ার্ক পারিমিটের কাগজ চাওয়ার পর, তিনি তা দেখাতে পারেননি। পরে দিয়ে যাবেন বলে আর ফিরে আসেননি। এখন বিষয় হচ্ছে কেউ যদি অবৈধভাবে আমাদের দেশে কাজ করেন, তাহলে উনাদের পাশে আমরা কীভাবে দাঁড়াব? পরে শুনেছি উনি পারমিট না নিয়েই এখানে শুটিং করতে এসেছিলেন। আমাদের এখানে কাগজ জমা দিতে না পেরে আবার ভারতে চলে যান।’
ছবি কেন মুক্তি পাবে না জানতে চাইলে বদিউল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ছবি হিসেবে মুক্তি পেতে চাইলে এফডিসির অনাপত্তিপত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে হবে। আর সেন্সর বোর্ড তখন আমাদের সমিতি থেকে অনুমতি চাইবে, যা আমরা দিতে পারব না, কারণ রাজা চন্দ আমাদের কাছে কাগজ জমা দিতে পারেননি, তা ছাড়া উনি আমাদের কথা দিয়েও ওয়ার্ক পারমিট না নিয়ে কাজ করতে আসার বিষয়টি নিয়ে আমরা সমিতিতে কথা বলেছি, তিনি আমাদের সমিতির সদস্য পদ পাবেন না। যেহেতু তিনি আমাদের সদস্য নন, তাই তাঁকে আমরা ছবি মুক্তির অনুমতি দেব না।’