এশিয়া খবর ডেস্ক::: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে
শীতলকুচিতে ৪ মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ঘটনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চক্রান্তে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি পরিকল্পনা করে একজন নারীকে পাঠিয়েছিল। তারপরই (৪ মুসলমানকে) বুকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এই সবটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চক্রান্ত।শুধু তাই নয়, শীতলকুচি কাণ্ডের গোটা প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানতেন।’
সোমবারের এক নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কথা বলেন। খবর ইন্ডিয়ান টাইমস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'কে কে গুলি চালিয়েছিল আমি সকলের নাম বের করে ফেলেছি। সব তদন্ত করে বের করব।'
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শীতলকুচি কাণ্ডকে ফের বিজেপি-র চক্রান্ত বলে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার রানাঘাটে নির্বাচনী সভা থেকে এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'প্ল্যান করে একজন মহিলাকে পাঠিয়েছিল বিজেপি। তারপর গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় চারজনকে। ' জানতেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা।
সোমবারের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে আগাগোড়াই উঠে আসে শীতলকুচি কাণ্ডের প্রসঙ্গ।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নাম না করেই এদিন তিনি বলেন, 'একেককজন বিজেপি নেতা বলছে আরও গুলি করা উচিত ছিল। কেউ কেউ বলছে ৮জনকে গুলি করা উচিত ছিল। এই নেতাদের নিষিদ্ধ করা উচিত।'
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘ওদের স্লোগান হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গুলি করে মানুষ মারি। তাই বলছি এই বিজেপিকে একটা ভোটও নয়।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'কে কে গুলি চালিয়েছিল আমি সকলের নাম বের করে ফেলেছি। সব তদন্ত করে বের করব। একজন ১৮ বছরের রাজবংশী ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি অবশ্যই সমবেদনা জানাচ্ছি। কিন্তু বিজেপি নিজের কর্মীকে নিজেরাই খুন করেছে। আর সেই অজুহাত দিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করার চেষ্টা করছে।'