নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ: অনিয়ম,দুর্নীতি আর বিতর্কের বাইরে কোনোভাবেই বের
হতে পারছেনা সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১২ সালে রহস্যজনক প্রক্রিয়ায় জহিরুল হক প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম,দুর্নীতি আর বিতর্কের ধারাবাহিক সিরিয়ালে পরিনত হয়েছে স্কুলটি।তৎকালীন সভাপতি তোফায়েল হোসেনের সময় স্কুলটিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও ২০১৭ সালে বর্তমান কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল স্কুলের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার পর থেকেই স্কুলটিতে সর্বাধিক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী অভিমত ব্যক্ত করেছেন।স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী রওশন আরা সভাপতি থাকাকালীন কয়েক কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।আর বর্তমান সভাপতি সামশুল আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুরো কমিটিকে অচল বানিয়ে রেখে সভাপতি ও শিক্ষানুরাগী সদস্য দুজনকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।এখন তিনি যা ইচ্ছে তা-ই করেন। যখন ইচ্ছে শিক্ষকদেরকে শোকজ করেন, সাসপেন্ডও করেন। এ বিষয়ে কোনো শিক্ষক প্রতিবাদও করতে পারেনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষানুরাগী সদস্যের ভয়ে।করোনাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক নিজে মাসের পর মাস স্কুলে না আসলেও অনেক শিক্ষককে এবসেন্ট করে,বেতন আটকিয়েছেন। এ বিষয়ে শিক্ষকরা সভাপতির কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে সমাধান করেন।কিন্তু সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক গত আগস্ট/২১ মাসে করোনায় আক্রান্ত তিনজন শিক্ষকের ১০-১২ দিন করে বেতন কর্তন করেন। জানা যায় এসময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্কুল বন্ধ থাকা স্বত্বেও আনঅফিসিয়ালি স্কুল চালু থাকলেও শিক্ষকদের কোনো হাজিরা ছিলোনা। ভুক্তভোগী ঐসব শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত থাকাকালীনও স্কুলের এ্যাসাইনমেন্ট ও অন্যান্য দায়িত্ব কোয়ারেনটাইনে থেকেও করে গেছেন।