সদ্য সংবাদ

 শামীম ওসমান ১০ বছরেও শোধ করেনি বন্ধুর ২৬ লাখ টাকা।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে,মেধা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান  রুয়েটে প্রথমবারের মতো ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট’ অনুষ্ঠিত  ফল মার্কেটের দাবি রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ীদের  নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন শামীম ওসমান  সংসদে কপিরাইট বিল পাস   কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি  ভিয়েতনামে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশে যা বললেন বাইডেন  নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ইয়াবসহ যুবক আটক   সাঘাটায় কাঠ পুড়িয়ে চলছে কয়লা তৈরি  রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ   ফতুল্লায় খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই   ‘শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে’   বাংলাদেশের কাছে ৫০০০ টন ইলিশ চায় ভারত  সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার আইনি ক্ষমতা চায় প্রেস কাউন্সিল  আমার ৫ আসনের এমপি নমিনেশন চাওয়া উচিত - মেয়র আইভী  সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান   দেশের মানুষ সরকারকে ‘না’ জানিয়ে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল   বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবো: শামীম ওসমান

ফোনালাপ ফাঁস ও মিডিয়ায় প্রচার করা ঠিক নয়: হাইকোর্ট

 Mon, Sep 13, 2021 9:13 PM
 ফোনালাপ ফাঁস ও মিডিয়ায় প্রচার করা ঠিক নয়: হাইকোর্ট

এশিয়া খবর ডেস্ক:: ফোনে আড়িপাতা এবং ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় উদ্বেগ

প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, মোবাইল ফোনে কথা বলা দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ আবার তৃতীয় পক্ষও ফোনালাপ ফাঁস করতে পারেন। তবে এখানে কোন পক্ষের কি স্বার্থ আছে তা জানি না। তবে ফোনে আড়ি পাতা ঠিক নয়। সেই আড়িপাতা মিডিয়ায় সগৌরবে প্রচার করাটাও উচিত নয়। ফোনে আড়িপাতা ও ফোনালাপ ফাঁস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিটের শুনানিকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ফোনালাপ যখন মিডিয়ায় ফাঁস করা হয় তখন ব্যক্তির গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হয়। সামাজিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে কারা ফোনালাপ ফাঁস করে তা আমরা জানি না। তবে ফোনালাপ ফাস করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সকল পক্ষকে সজাগ থাকা দরকার। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আগামী রবিবার এ রিটের উপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছে হাইকোর্ট।

এদিকে রিট আবেদন দায়েরের পূর্বে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে থাকেন সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিরা। নোটিশের জবাব না পেয়েই রিট মামলা করে থাকেন আইনজীবীরা। লিগ্যাল নোটিশের এই জবাব না দেওয়া প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছে, আমাদের দেশে ডিমান্ড নোটিশের জবাব দেওয়ার চর্চাটা সেভাবে গড়ে উঠেনি। হয়ত লাখে ২/১টা নোটিশের জবাব পেয়ে থাকতে পারেন কেউ কেউ। আদালত বলেন, আমরা যতই জনবান্ধব প্রশাসনের কথা বলি না কেন? প্রশাসনের এই দৃষ্টিভঙ্গি বা সংস্কৃতি কবে বদলাবে কে জানে।


ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্ত চেয়ে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দশ আইনজীবী। লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়েই এ রিট করা হয়। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩০(চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করা বিটিআরসির দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরণের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশন তার দায়িত্ব পালন করছে না। তিনি বলেন, সরকার প্রধান থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমি, আপনারা বা অ্যাটর্নি জেনারেল কেউ নিরাপদ নই। কখন কার ফোনালাপ কিভাবে ফাঁস হবে কেউ জানি না। স্বামী-স্ত্রী ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা প্রতিরোধে বিটিআরসির কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।


জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, যারা রিট আবেদনকারী হিসাবে রয়েছেন তাদের কারোর ক্ষেত্রেই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। ফলে তারা কিভাবে সংক্ষুদ্ধ হলেন? যেসব ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা এখানে যুক্ত করা হয়েছে তারা চাইলে বিটিআরসিতে আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারেন। এছাড়া নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলা করারও সুযোগ আইনে রাখা হয়েছে। অতএব এই রিট চলতে পারে না। খারিজযোগ্য। তিনি বলেন, যখন দুইজন ব্যক্তির মধ্যে ফোনালাপ হয় তখন এদের যে কেউ একজন সেটা রেকর্ড করে ফাঁস করতে পারেন। এখানে বিটিআরসির কি করার আছে? সেক্ষেত্রে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা করতে পারেন। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ আইনে রয়েছে।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, এই ফোনালাপ ফাঁস প্রতিরোধ করা সম্ভব কিনা? শিশির মনির বলেন, সম্ভব। ডিজিটালি সারাবিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নাই। আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু জবাব না পেয়ে রিট করেছি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেয়।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement

আরও দেখুন