
এশিয়া খবর ডেস্ক:: চার্জশিট হওয়ার আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের জন্য
আগে থেকে সরকারের অনুমিত নেওয়ার বিধানকে কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আইনজীবীরা জানান, চার্জশিট হওয়ার আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের তত্কালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন করা থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়গুলোও জানতে চেয়েছেন আদালত।
গত ২৩ আগস্ট কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তত্কালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনের পোস্টিংয়ের বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়েছে। এছাড়া অন্য তিন আসামিকে পোস্টিং না দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশি্লষ্টদের বিবাদী করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক মো. আরিফুল ইসলাম রিগান এ রিট করেন।
ওইদিন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ওই চারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান। মামলায় তারা এখনো জামিন নেননি। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তারা পলাতক। অথচ ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদের বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে এবং অন্য তিনজনকে পোস্টিংয়ের চেষ্টা চলছে, যা আইনবহির্ভূত। তাই একজনের পোস্টিংয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার তিন আসামিকে যেন পোস্টিং দেওয়া না হয়, সেজন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।