পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলাম কামু॥: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নাট্য সংগঠন ভূমিজের উদ্যোগে ৭দিনব্যাপী
আয়োজিত এই নাট্য উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের নাট্যদল অংশ নেবে। আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে ভারতের ২টি , নেপালের ২টি এবং বাংলাদেশের ৪টি নাট্যদল অংশ নিচ্ছে।গত ৯ অক্টোবর হতে পঞ্চগড় সরকারী অডিটোয়িামে এই উৎসব শুরু হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন। পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাত সম্রাট, মজাহারুল হক প্রধান, নাঈমুজ্জামান মুক্তা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি মিশন কাউন্সিলর ধান বি ওলি, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী দিনে নেপালের কালচারাল কর্পোরেশন পরিবেশন করে ধন বাহাদুর ওলির রচনা এবং বীরেন্দ্র হামালের নির্দেশনায় ‘বে অফ বেঙ্গল ভার্সেস হিমালয়’, ১০ অক্টোবর কলকাতার নিহারিকা নাট্যদল পরিবেশন করবে শ্যামসুন্দর বসুর রচনা এবং অশীম কর্মকারের নির্দেশনায় ‘বিষয়ের বিশ’, ১১ তারিখে সম্বিত সাহার রচনা নির্দেশনায় দিনাজপুরের শিল্পনাট পরিবেশন করবে ‘রক্ত গোলাপের ছবি’, ১২ অক্টোবর পুরু লামসালের রচনা নির্দেশনায় নেপালের নাট্যদল আদিত্যাদি পরিবেশন করবে ‘নাওগেডি’, ১৩ অক্টোবর সরকার হায়দারের রচনা ও নির্দেশনায় ভূমিজ পরিবেশন করবে ‘শাহনাজ’,
১৪ অক্টোবর শিলিগুড়ির প্যাশোয়েনেট পারফর্মার্স অমিতাভ কাঞ্জিলালের নির্দেশনায় পরিবেশন করবে গিরিশ কার্নাডের ‘তুঘলক’, ১৫ অক্টোবর ঢাকার শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র পরিবেশন করবে রওশন জান্নাত রুশনীর রচনা নির্দেশনায় ‘বীরাঙ্গনার বয়ান’ একই দিনে পঞ্চগড়ের নাট্যদল দিশারী নাট্যগোষ্ঠী পরিবেশন করবে রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় সেলিম আলদীনের নাটক ‘বাসন’, ১৬ অক্টোবর পরিবেশিত হবে আশিষ খন্দকারের রচনা ও নির্দেশনায় ঢাকার নাট্যদল স্পেস এন্ড এ্যাকটিং রিসার্চ সেন্টারের নাটক ‘দুই আগুন্তক ভার্সেস একটি করবী ফুল’।
ভূমিজের নাট্যকার নির্দেশক সরকার হায়দার বলেন, নাট্য উৎসব শিরোনামে আয়োজিত হলেও এটা মূলত সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিনত হয়েছে। কারন ৭ দিন ব্যাপি শুধু নাটকের আয়োজনই নয় শিল্প সংস্কৃতির অন্যান্য মাধ্যমগুলোও এখানে চর্চিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে আর্ট ক্যাম্প, সাহিত্য আড্ডা, থিয়েটার ক্যাম্প, শিশুদের অংশগ্রহণে নাট্য কর্মশালা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, খাদ্য উৎসব। উৎসবের মধ্যে প্রতিদিন স্থানীয় শিশু ও নাট্যকর্মীদেরকে অভিনয় প্রশিক্ষণ দেবেন দেশ বিদেশের বরেণ্য নাট্যকার ও নির্দেশকরা। ফলে বিভিন্ন দেশের অভিনয় ও শিল্প, সাহিত্যের সঙ্গে এই এলাকার তথা বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটবে।