পঞ্চগড় প্রতিনিধি॥: গ্রামীন ব্যাংক পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা শাখায় ঋন বিতরনে নানা অনিয়ম সহ
স্বজনপ্রীতি ও অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকটির অভ্যন্তরীন কার্যক্রমে নৈতিক স্ফলন এবং নিয়ম নীতি উপেক্ষিত হচ্ছে।
গ্রামীন ব্যাংক ধাক্কামারা শাখায় ঋন বিতরনের পর কিস্তি আদায়ে নানা রকম অসৌজন্যমূলক আচরনের কারনে ব্যাংকটির সুনামক্ষূন্ন হতে বসেছে। কিস্তি বকেয়া থাকলে নানা রকম গালাগালি সহ জামানত হতে কিস্তি আদায়ের হুমকি দেয়া হয় সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের।
সম্প্রতি পুরাতন পঞ্চগড় নিবাসী মেরিনা আকতার জাহানকে ঋন দিবে মর্মে মাঠ কর্মী মোঃ হুমায়ুন কবীর ধাক্কামারা গ্রামীন ব্যাংকে তার স্বমীকে বলেন যে, সমস্যা নাই আমি আপনার ঋন মঞ্জুর করে আগামী সপ্তাহে দিবো, এসময় ব্যাংক ম্যানেজার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে হুমায়ুন কবীর কাগপত্র/ফরম পূরন করে বাসায় গিয়ে ছবি ও ফরমে স্বাক্ষর করে নেন।
তারপর কয়েকদিনের মাথায় হঠাৎ করেই হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রোগাম অফিসার এই ঋন পত্রে স্বাক্ষর করবেন না এবং এই ঋন হবে না। এমন কথায় হতাশ হয়ে ঋন আবেদনকারী ও তার স্বামী বলেন তাহলে কেন হয়রানী করলেন এবং ফরম পূরন করে নিলেন। এমন প্রশ্নে মাঠ কর্মী হুমাযূন জানান, আমি চেষ্টা করেছি, তবে প্রোগাম অফিসার অজুহাত দেখিয়ে চলে যান।
এর আগে কয়েক দফায় ওই ব্যাংকে যান ঋন আবেদনকারীর স্বামী। অথচ সে সময় কোন রকম সৎ পরামর্শ না দিয়েই ব্যাংকটির ম্যানেজার আব্দুল হালিম নীরব হয়ে থাকেন। কোন রকম কথা বলেন নি। তবে উচ্চস্বরে বলেন, কেউ কিস্তি দিতে না পারলে তার ডিপোজিট (জামানত) থেকে সেই কিস্তির টাকা কেটে নেয়া হবে।
এ বিষয়ে গ্রামীন ব্যাংক পঞ্চগড় এরিয়া অফিসের প্রোগাম অফিসার বিমল কৃষ্ণ সরকারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন আমার কেয়াল নেই, কারন প্রায় ২০ হাজার ফাইল। তবে তিনি এক পর্যায়ে বলেন, ম্যানেজারকে বলেন।
স্থানীয় সচেতন মানুষ এই ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপসারন সহ ব্যাংকটিতে স্বচ্ছতার নিরীক্ষে দক্ষ কর্মীদের পদায়ন করার দাবী তুলেছে।#