লাভলী মজুমদারঃ: বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবীদের পরিচালনা
করে। তাদের জন্য নীতি নির্ধারণ করে। কিন্তু তারা নিজেরাই কোনো আইন বা নীতির তোয়াক্কা করেনা। গত ৭ জুলাই থেকে তেরো হাজার আইন শিক্ষানবিশরা বার কাউন্সিল এর অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। আইন পরীক্ষার মাধ্যমে আইনের সার্টিফিকেট নিয়ে আইনের শিক্ষা নবিশ হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রতি বছর দুটি mcq পরীক্ষা নিবে। & রিটেন ও ভাইবার মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০১২ সালের মধ্যে এই পর্যন্ত মাত্র চারবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সনদ পরীক্ষা কমপ্লিট করতে পেরেছেন। তার মধ্যে ২০১৭ সালের পর ২০২০ এর জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন বছর কোনো পরীক্ষা নেননি। এখানে পেশাগত আইনজীবী যেনো তৈরী না হয়।এ নিয়ে বার কাউন্সিল একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
আইনশিক্ষা নবিশ হচ্ছে প্রফেশনাল পেশা। সনদ না পেলে যেখানে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করতে পারেনা।তাই সনদ নিয়ে বার কাউন্সিল এর এই অবহেলার শিকার হচ্ছেন ৯০ হাজার আইনের শিক্ষানবিশ আর তাদের পরিবারের লোকজন। কিন্তু যেখানে ছয় মাস পর পর পরীক্ষা নেয়ার কথা সেখানে তিন বছরেও বার কাউন্সিল পরীক্ষা নেয়না। তিন বছর পরে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন ধাপের পরীক্ষার প্রথম ধাপ mcq নেয়া হয়।নিয়ম অনুযায়ী mcq রেজাল্টের দুই মাসের ভিতরে রিটেনের তারিখ ঘোষণা করার। কিন্তু বার কাউন্সিল এখানেও ব্যার্থ।তাই, বর্তমান করোনাভাইরাস এর কারনে যেখানে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনাভাইরাস ও বার কাউন্সিল এর চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারনে তেরো হাজার mcq উত্তির্ন ও যারা mcq পরীক্ষার্থী তার সারাজীবন এর জন্য রিটেন পরীক্ষা বাতিল ও এই পেন্ডামিক সিচুয়েশনে সনদের দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে আমরণ অনশন এর ডাক দিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই আজকে ৫৩ দিন আন্দোলনকারি আইন শিক্ষানবিশরা রোদ, ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় আছে,কিন্তু বার কাউন্সিল এর কোন অবিভাবক তাদের খোজ নিতে আসেনি।জিজ্ঞেস করেনি তারা কেনো রাস্তায়!আর এই আন্দোলন ব্যার্থ করার অভীপ্রায়ে বার কাউন্সিল আগামি ২৬ শে সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেন।যা বর্তমানে একটি অমানবিক ব্যাপার। করোনায় পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।তাছাড়া। এর মাঝে যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই শিক্ষানবিশ কিভাবে পরীক্ষায় অংশ নিবেন? বার কাউন্সিল কি একটি জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে। এই ৫৩ দিনের মাঝে কয়েকজন শিক্ষা নবিশ করোনায় মৃত্যু বরন ও করেছেন। তাই এই পরীক্ষা বাতিল সহ সনদের দাবিতে আন্দোলনকারি শিক্ষানবিশরা আগামি ৩ সেপ্টেম্বর মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।