সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥: সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিলেকশন কমিটি বাতিল করে
গভর্নিংবডির নির্বাচনের দাবিতে রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা। এসময় কমিটির পক্ষে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি তোফায়েল হোসেনের লোকজনকে মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোফায়েল হোসেনের লোকজন উপস্থিত হয়ে মানবন্ধনকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তোফায়েল হোসেনের লোকজন বিদ্যালয়ের অভিভাবক বাবুর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের কথা বলে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম নির্বাচন না করে গোপন আতাঁত করে সিলেকশন কমিটি গঠন করে। এতে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এর ফলে গতকাল রোববার সকালে মানবন্ধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোফায়েল গ্র“প ও নির্বচনের পক্ষের গ্র“প এর সাথে সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।মাছুম নামে একজন অভিভাবক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নির্বাচন না দিয়ে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও টাউট বাটপারদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল গোপনে সিলেকশন কমিটি গঠন করে অনুমোদন করার জন্য শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক বর্তমান সভাপতির পছন্দের সদস্যদের নাম দিয়ে নির্বাচন না করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গোপন আতাঁত করে পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে।এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের সাথে কথা বলার জন্য গতকাল রোববার দুবার তার অফিসে গিয়ে না পেয়ে তাকে একাধিক বার ফোন ( ০১৭১৫১০৪৫২২) দিলেও সে ফোন রিসিভ করেননি। সহকারী প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বলেন, নির্বাচন ও কমিটি গঠন প্রসংগে প্রধান শিক্ষক জহিরুল স্যার ছাড়া কেউ আমরা জানিনা তিনিই ভাল জানেন।স্থানীয় অভিভাবকরা জানায়, এ বিদ্যালয়ে সানারপাড়সহ আশ পাশের এলাকার কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করছে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তোফায়েল হোসেন ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। এ নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হতে পারে। তাই আমাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।অপরদিকে গত ৩০জুলাই অভিভাবকরা গোপন সিলেকশন কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলেজানাগেছে। জানাযায় দীর্ঘ ৯ বছর যাবত ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়ায় এক শ্রেণীর স্বার্থন্বেষী মহল প্রতিবছর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে মানবন্ধনকারীরা জানায়। বিনা নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে সানারপাড় এলাকার যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন বিদ্যালয়টির সভাপতি পদে থেকে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ভর্তি ফি, কোচিং ফি, অতিরিক্তি বেতনসহ ব্যাপক লুটপাট করেছেন বলে একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়। নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজলাল বাদল বলেন, বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে, ভর্তি ফি, বেতন ও কোচিং এর নামে প্রতিবছর অর্ধকোটি টাকা আদায় হলেও সে টাকা লুটপাট হচ্ছে। নির্বাচিত অভিভাবক নেই বলেই তারা ব্যাপক দুর্নীতি করার সাহস পাচ্ছে। কাউন্সিলর বাদল আরও বলেন নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের জনগনের দাবি এবং আমার ও দাবি বিদ্যালয়ে গভর্নিংবডির নির্বাচনের। কাউন্সিলর বাদল বলেন বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বসে মাদক সেবনসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে স্বার্থন্বেষীমহল। যার প্রতিফলন হিসেব নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ ফুঁসে উঠেছে তাদের সবার একটিই দাবি বিদ্যালয়ের সিলেকশন কমিটি বাতিল করে গভর্নিংবডির নির্বাচন দেওয়ার । এ ব্যাপারে তোফায়েল হোসেনের সাথে তার মোবাইলে নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।