এশিয়া খবর ডেস্ক:: ঘুষ দেয়ার দায়ে টেক জায়ান্ট স্যামসাং-এর প্রধান লি জে ইয়ংকে
আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত।
এর আগে দুর্নীতির দায়ে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পাক গান-হে’কে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই ঘটনার সূত্র ধরে আরেকটি মামলায় ফাঁসলেন লি জে ইয়ং।
বিবিসি জানায়, ঘুষ প্রদান, অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে আয় করা প্রায় ৭৮ লাখ ডলার লুকিয়ে রাখার দায়ে আদালত লি’কে দোষী সাব্যস্ত করে।
তার কারাদণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই মার্কেটে স্যামসাংয়ের শেয়ারের দরে ৪ শতাংশ পতন ঘটে।
লি মূলত ২০১৪ সাল থেকেই স্যামসাং-এর প্রধান হিসেবে কাজ করে আসছেন। সে বছর লি’র বাবা স্যামসাং মালিক লি কুন-হি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তিনি গত বছর মারা যান।
এখন আদালতের কারাদণ্ডাদেশের কারণে কোম্পানিতে তার ভবিষ্যৎ ভূমিকা সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্তত সাময়িকভাবে তাকে কোম্পানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেয়া নাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লি’র কারাদণ্ডের ফলে স্যামসাংয়ের মধ্যে নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হবে যার প্রভাব পড়বে বড় বড় বিনিয়োগ প্রকল্পের ওপর।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো জিডিপির এক পঞ্চমাংশ আসে স্যামসাং থেকে। সেজং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কিম দে জং বলেন, ‘স্যামসাং-এর জন্য এই রায় এটা একটা বড় ধরনের ধাক্কা।’
আদালতের দলিল থেকে জানা যাচ্ছে, লি জে ইয়ং নিজে ঘুষ দিয়েছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পাক গান-হে’কে আভাস-ইঙ্গিতে বলেছেন তিনি যাতে স্যামসাং-এর নতুন প্রধান হতে পারেন তার জন্য প্রেসিডেন্ট যেন তাকে সাহায্য করেন।
লি’র কৌঁসুলিরা বলছেন, ‘আদালতের এই রায়ে তারা হতাশ হয়েছেন।’
তার কারাদণ্ডের মেয়াদ কিছুটা কমে যাবে কারণ মামলা শুরুর পর থেকেই তিনি আটক অবস্থায় আছেন। তাকে এখন মোট ১৮ মাস জেল খাটতে হবে।
তাকে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৭ সালে এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারি মামলায়।
সে সময় স্যামসাং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তারা প্রেসিডেন্ট পাক-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিল’র দুটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি ৬৭ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিল।
