সদ্য সংবাদ

 শামীম ওসমান ১০ বছরেও শোধ করেনি বন্ধুর ২৬ লাখ টাকা।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের শিক্ষা বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত।  মল্লিকের চর শিক্ষা কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে,মেধা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান  রুয়েটে প্রথমবারের মতো ‘ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট’ অনুষ্ঠিত  ফল মার্কেটের দাবি রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ীদের  নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন শামীম ওসমান  সংসদে কপিরাইট বিল পাস   কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি  ভিয়েতনামে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশে যা বললেন বাইডেন  নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ইয়াবসহ যুবক আটক   সাঘাটায় কাঠ পুড়িয়ে চলছে কয়লা তৈরি  রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ   ফতুল্লায় খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই   ‘শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে’   বাংলাদেশের কাছে ৫০০০ টন ইলিশ চায় ভারত  সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার আইনি ক্ষমতা চায় প্রেস কাউন্সিল  আমার ৫ আসনের এমপি নমিনেশন চাওয়া উচিত - মেয়র আইভী  সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান   দেশের মানুষ সরকারকে ‘না’ জানিয়ে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল   বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবো: শামীম ওসমান

নগ্ন মডেল, প্রাণনাশের হুমকিতে ফোটোগ্রাফার

 Sun, Aug 26, 2018 10:30 AM
 নগ্ন মডেল, প্রাণনাশের হুমকিতে ফোটোগ্রাফার

ডেস্ক রিপোর্ট : : ঠিক যেন শুভ দৃষ্টির পরের মুহূর্ত। মাথায় মুকুট। কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ।

 বাঁ হাতে জোড়া পানপাতা। তাতে মুখের নিচের অংশটুকু ঢাকা পড়েছে। ডান হাতে লক্ষ্মীর গাছকৌটো। খোলা চুলটা সামনের দিকে নামিয়ে দেওয়া।  এক্কেবারে বিয়ের কনে। কিন্তু বিয়ের সাজে ওই তরুণী একেবারেই নগ্ন। পানপাতা ধরা হাত এবং ডান দিকে পাতিয়ে দেওয়া চুল ঢেকেছে বুক। লক্ষ্মীর গাছকৌটো দিয়ে আড়াল করে রাখা যৌনাঙ্গ। ফেসবুকসহ বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় এই ছবি এখন ভাইরাল। কিন্তু, এর পেছনে আরও একটা কাহিনী তৈরি হয়েছে। যে পেশাদার আলোকচিত্রী ওই ছবিটি তুলেছিলেন, তাকে এখন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পরিচয় দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই এক দল যুবক ওই সব হুমকি দিচ্ছেন। প্রাণের ভয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে পাটুলির বাসিন্দা প্রীতম মিত্র নামে ওই আলোকচিত্রী কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। প্রীতমের একটি সংস্থা রয়েছে। কাজ মূলত বিয়ের ছবি তোলা। গত চার বছর ধরে পেশাগতভাবেই ওই সংস্থাটি চালাচ্ছেন তিনি। তবে বিতর্কিত এই ছবিটি প্রীতমই তার এক বন্ধুর সংস্থার হয়ে তুলেছিলেন। প্রীতমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গত ২১ অগস্ট পেশাদার এক মডেলের ওই ছবিটা আমি তুলেছিলাম। ক্যামেরিনা নামে একটি গ্রুপে ছবিটা পোস্ট করেছিলাম। মুছেও দিয়েছিলাম মিনিট দশেকের মধ্যে। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ হয়তো সেখান থেকে ছবিটা নিয়ে ছড়িয়ে দেয়।’’ সেই ছবি ক’দিনের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিটিতে আলোকচিত্রী হিসাবে প্রীতম মিত্রের নামও রয়েছে। এর পরেই প্রীতম ট্রোলড হতে থাকেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের হিন্দুত্ববাদী পরিচয় দিয়ে এক দল যুবক প্রথমে কটূক্তি করা শুরু করেন ওই আলোকচিত্রীকে। তাদের ক'জন তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিতে থাকেন। হুমকিদাতাদের একজন রাজ সরকার রিঙ্কু। নিজেকে মালদহের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রাক্তন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। হিন্দুত্ববাদী হিসেবেও দাবি করেছেন নিজেকে। ফেসবুকে তার পোস্টে ওই আলোকচিত্রীর মাথার দামও ধার্য করেছেন রাজ। এমনকি, মুণ্ডচ্ছেদ করার হুমকিও দিয়েছেন। ওই যুবকদের অভিযোগ, লক্ষ্মীর গাছকৌটো হাতে ওই তরুণীর এ রকম ছবি হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এভাবেই ফেসবুকে হুমকি দেওয়া হয়েছে ফোটোগ্রাফারকে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই অন্য একদল ওই ছবিকেই বিকৃত করে তরুণীকে লাল রঙের শাড়ি পরিয়ে দিয়েছেন। প্রীতম কিন্তু স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন, এমন কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। এই ছবির সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “যেভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তাই সাইবার ক্রাইম থানাতে অভিযোগ দায়েরও করেছি।” কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ কে বা কারা ওই ছবিটিকে ফোটোশপ করে বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্র: আনন্দবাজার।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement

আরও দেখুন