অলিউল্লাহ :: রিয়া কেমন আছো তুমি? নিশ্চয় ভাল আছো।
আর ভাল থাকরই তো কথা।কিন্তু দেখো আমি ভাল থাকতে পারছিনা তোমায় ছাড়া।কিভাবে ভাল থাকি বলো? যখন রাত গভীর হয়, তখন তোমায় ভিষন মনে পড়ে রিয়া।সারাদিন কর্মব্যাস্ততা শেষে যখন ঘরে ফিরি তখন বুকের বাম পাজরটায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভুত হয়।চারিদিক নিশ্তব্দ নির্জীব প্রানে যখন সবাই নিদ্রামগ্ন তখন আমার ঝিঝি পোকাদের সঙ্গে রাত্রি যাপন এ যেন নিত্য সঙ্গি হয়ে উঠেছে।তুমিও নিশ্চয় গভীর নিদ্রায় মগ্ন।কিন্তু দেখো আমার চক্ষু যেন আড়ি পেতেছে নিদ্রার সঙ্গে।তোমার চলন - বলন তোমার রুপ আমায় বিমোহিত করে সারাক্ষন।কেন এমন হয় বলতে পারো রিয়া? তুমি তো পারতে এই ভাবনা গুলোকে তোমার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিতে।কিন্তু দেখ আজ তুমি কত দুরে।দুরে থাকবেই বা না কেন।তুমি তো আমায় ভুলে গেছো হয়তো।নিদ্রায় বিভর হয়ে স্বর্গবাগিচায় পুষ্পে পুষ্পে আজ সকলই তোমার নিত্য সঙ্গি।সেই পুষ্পেরই ভ্রমর হতে চেয়েছিলাম রিয়া।কিন্তু তা আর হয়ে উঠবে হয়তো।দেখো তোমাকে ঘিরে আমার স্বপ্ন গুলো যে বক্ষে বাসা বেধেছিল সেই স্বপ্ন গুলো আজ কেমন মলিন হয়ে গেল।অথচ তুমি এতটুকু আঁচ করতে পেরেছো রিয়া? পারোনি হয়তো।অবশ্য এই মলিনতায় আজ আমার নিত্য সঙ্গি।তোমার হাসি,কান্না এমনকি তোমার চুলের গন্ধ আজ আমায় ব্যাকুল করে তুলেছে।
কিন্তু একটা জিনিস খুব ভাল হয়েছে জানো?তোমার স্মৃতিগুলো আজ আমায় কাঁদাতে পারে না।জানোই তো সবকিছুর একটা সিমা আছে।
আখি কোনে যে জল জমেছিল তোমায় ঘিরে সেও আজ শুষ্ক।হৃদয় পরিনত হয়েছে শিলাখন্ডে।তবে জানো তো রিয়া এই মুহুর্ত গুলোই আজ আমাকে ভাল লাগছে।হৃদয় দহন দেখেছো কখনো রিয়া? দেখোনি হয়তো!এই নির্মম পরিস্থিটা সারাক্ষন জ্বালাতন করে আমায়।ও অবশ্য সয়ে গেছে আমার।কারন নিত্য সঙ্গি হৃদয় দহন।তাকে ভাল না লাগিয়ে উপায় আছে বলো?যমদূত আমায় ডাকে,যেতে হবে হয়তো।মেঘ কালো অন্ধকার ধেয়ে আসছে আখি কোণে।সবকিছু যেন আজ নির্জীব হয়ে গেছে।দেখোনা কলমটাও কেমন স্বার্থপর! অনেক দিন বাদে যখন তোমায় লিখতে বসলাম তখনই তার কালি ফুরিয়ে এলো।অনেক কিছুই লেখার ছিল লিখতে পারলাম না রিয়া। তোমায় বিরক্ত করলাম হয়তো। কিছু মনে করো না রিয়া!
ভাল থেকো তুমি! ভাল থেকো রিয়া।
অলিউল্লাহ